পরিবেশ ধ্বংসকারীর দখলে-দূষণ-ভরাটের তাণ্ডবে অস্তিত্ব হারাচ্ছে সিলেটের পরিবেশ

প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪

পরিবেশ ধ্বংসকারীর দখলে-দূষণ-ভরাটের তাণ্ডবে অস্তিত্ব হারাচ্ছে সিলেটের পরিবেশ

নুরুন নাহার বেবী সিলেট থেকে :

সিলেটের নদ-নদী প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, যাদুকাটা, মনুসহ বিভিন্ন নদী, খাল, পাহাড়ি ছড়া। দখলে-দূষণ-ভরাটে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। নদীর তীর জুড়ে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। কোথাও কোথাও তীর দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধস্থাপনা। তাছাড়া পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে শুরু হয়েছে নদীকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া। এমন প্রক্রিয়া সচল থাকলে বিরাট হুমকি নিয়ে আসবে দুটি পাতায় একটি দেশ এই সিলেটে।
সিলেট নগরীর পশ্চিম কাজিরবাজারে নদী দখল করে মৎস্যবাজারের জায়গা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে গিলে ফেলার উদ্দেশ্যে দখলের জায়গাটি পাকাকরণও হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের বিষয়টি জানা নেই। অবশ্য, পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, বিষয়টি তারা তদন্ত করবে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, সিলেট বিভাগের অন্যতম প্রধান নদী সুরমা। দীর্ঘদিন ধরে এই নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দখল, দূষণ আর অবহেলার কারণে। বারবার একটি চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও দখলদাররা থেমে নেই। এবারও সুরমা নদীর বিরুদ্ধে অংশ প্রক্রিয়া দাঁড়িয়েছে কাজিরবাজার মাছের আড়তের ব্যবসায়ীরা । পাশাপাশি দূষণেরও অভিযোগ ওঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
কাজিরবাজারসহ আশপাশে ও এই বাজারের পেছন দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পাড়ের বেশকিছু জায়গা তারা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। দখলের একটি অংশে দেয়াল উঠিয়ে একেবারে পাকাপোক্তভাবে সীমানা আলাদা করে নেয়া হয়েছে। সীমানার পনের থেকে বিশ হাত জায়গা সুরমা নদীর তীরের অংশ। এভাবে দখলের অপচেষ্টা চলছে। ফলে,
সিলেটের নদী ও পরিবেশ পড়েছে বিপর্যয়ে সম্মুখে!
তাছাড়াও
সমস্ত সিলেট জুড়েই চলছে পরিবেশ ধ্বংসের খেলা।
যেমন হবিগঞ্জের পুরোনো খোয়াই নদীর প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে দখল করা হয়েছে। ফলে শহরে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও তা মাঝপথে থেমে যায়। এছাড়া সুনামগঞ্জের পাহাড়ি নদী যাদুকাটার তীর ধসিয়ে বেআইনিভাবে বালি-পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে নষ্ট হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ। বাড়িঘর, জমি বিলীনের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন তীরবর্তী মানুষ। বিষয়গুলোকে নদীর বৈশিষ্ট্যের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন পরিবেশবাদীরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ