শীতে কাবু হাওরাঞ্চলের মানুষ

প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪

শীতে কাবু হাওরাঞ্চলের মানুষ

জাকিয়া সুলতানা, সুনামগঞ্জ :

বোরো মৌসুমে হঠাৎ জেঁকে বসা তীব্র শীতে কাবু নিম্ন আয়ের হাওরাঞ্চলের সাধারন মানুষ। তিন দিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত তাহিরপুরের হাওরাঞ্চল। রোদ না থাকায় সকাল থেকেই সন্ধ্যার পূর্বাবস্থা বিরাজ করছে প্রকৃতিজুড়ে।

সকাল থেকেই রোদ নেই, বইছে মৃদু বাতাস। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। এছাড়া হাওরে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক ও শ্রমিকেরা। তারপরও নিম্ন আয়ের মানুষ পেটের তাগিদে কাজ করতে বেড়ুচ্ছেন।প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের দেখা মেলে কিছুসময়।

ফলে তাহিরপুরের ৭ টি ইউনিয়নে হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ। ঠান্ডা বাতাস কমে গেলে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সীমান্ত এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি দেখা গেছে। অনেকেই আবার খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। অনেকেই গরম কাপড় কিনছেন। নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দোকান থেকে শীত নিবারণের জন্য সোয়েটার, জ্যাকেট কিনতে দেখা গেছে।

প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে ভরা বোরো মৌসুমের সময়ে হাওরবেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর,মাঠিয়ান হাওর, টাংগুয়ার হাওর,গুরমার হাওর,মহালিয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে কৃষি শ্রমিকেরা কাজে নামতে পারেননি।

শনিরহাওর পাড়ের কৃষক আব্দুল কাদির জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে বেশি টাকা দিয়েও জমিনে কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বোরো চাষাবাদে কষ্ট হচ্ছে।আবার শ্রমীক পেলেও দুপুর হয়ে যায়।

টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের বোরো চাষি লিমন মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হাড়কাঁপানো শীতে জীবন-জীবিকা কষ্টের হয়ে গেছে। শীতে বোরো জমিতে চারা রোপণ করতে পারছি না।আমরা দিনের ১২ টা পর্যন্ত ঘর থেকেই বেরুতে পারনিা শিতের জন্য।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান উদ দৌলা বলেন, হাওর এলাকায় শীতের তীব্রতা থাকলেও বোরো জমিতে চারা রোপণে কৃষক ও শ্রমিকরা কষ্ট করেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন