প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: নিরীহ গরুর বাচ্চার সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান এর বিরুদ্ধে। কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ধারালো রড দিয়ে ঘাই মেরে গুরুতর আহত করেছেন বাছুরটিকে। প্রায় ৩০ মিনিট গাথা রড নিয়ে বাচ্চাটি এলোমেলো দৌড়াদৌড়ি করার পর কয়েকজন লোক রডটি অপসারণ করেন। গত বুধবার কলেজ চলাকালে পশুর সঙ্গে শিক্ষক এমন অমানবিক কান্ড করেন বলে জানা যায়।
জানা গেছে, বুধবার সকালে সরদারপুর গ্রামের কৃষক নূরুল হকের একটি বাছুর মঈনুল হক কলেজে ঢুকে পড়ে। কলেজ ক্যাম্পাসে ফুলের পাতা খেয়ে ফেলে। এ ঘটনা দেখে কলেজের শ্রেণিকক্ষে সপরিবারে অবস্থানরত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ধারালো রড দিয়ে বাচ্চাটিকে সজোরে ঘাই মারেন। ধারালো রডটি বাছুরের মেরুদন্ডের পিছনের অংশে এফোড় ওফোড় হয়। হঠাৎ চিৎকার করে গো-ছানাটি উন্মাদের মতো দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর বাচ্চাটির চিৎকার শুনে সরদারপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি বাছুরকে ধরে ধারালো রডটি অপসারণ করেন। পরে প্রাণী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান।
সরদারপুর গ্রামের ইউপি সাবেক ইউপি সদস্য মো. আমিরুল হক বলেন, গরুটি আমার ভাইয়ের। অধ্যক্ষ ধারালো রড দিয়ে প্রাণীটিকে ঘাই মেরে অমানবিক আচরণ করেছেন। এর আগেও তিনি দুই ছাত্রীকে কোদাল দিয়ে আহত করেছিলেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবরে শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়মের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
সিলেট বাপার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কিম বলেন, একজন শিক্ষক প্রাণীর সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা পশুত্বকেও হার মানিয়েছে। নিন্দনীয় এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিচার হওয়া উচিত। কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এখন কথা বলতে পারবেন না
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন কলেজে ফুল লাগানো হইছে৷ এই সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে একটি চক্র প্রতিদিন গবাদিপশু প্রবেশ করে। এসময় ঢিল দিয়ে গরু তাড়াতে গিয়ে একটু বাছুর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest