সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা,কারণ ও প্রতিকার কিসে?

প্রকাশিত: ৪:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৪

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা,কারণ ও প্রতিকার কিসে?

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা,কারণ ও প্রতিকার কিসে?

১/ প্রতিবছরই বন্যা কেন?
আকস্মিক বন্যা বর্তমানে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই দেশে যেমন ইস্যুর নিচে নতুন ইস্যু থাকে উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চলের আকস্মিক বন্যাও যেনো এর প্রতিচ্ছবি।আগের দিনে এই অঞ্চলের মানুষ ১০ হতে ১৫ বছর পর পর বন্যার সম্মুখীন হলেও বিগত কয়েক বছর যাবৎ বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বছরে দুই হতে তিনবার।বন্যার এত কিসেরই বা তাড়া! উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারণ মানুষের প্রতি তার কিসেরই বা এত জেদ!ডুবিয়ে মারতে উঠে পরে লেগেছে।যেখানে প্রতি ১০ হতে ১৫ বছর পর পর এই অঞ্চলের মানুষ একটি বন্যার দেখা পেতো সেখানে বর্তমানে বছরে ২ হতে ৩ বার ছোট বড় বন্যার সম্মুখীন হবার কারণটা কি সেটা কি আদৌ আমাদের জানা আছে? আদৌ কি তার কারণ উদঘাটন সম্ভব হয়েছে?এর কারণটা কি আসলেই প্রাকৃতিক নাকি মানব সৃষ্ট তার রহস্য উদঘাটন কি আজও সম্ভব হয়েছে?
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় ভারতের মেঘালয় প্রদেশে।এর মধ্যে চেরাপুঞ্জিতে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়।চেরাপুঞ্জিতে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এর তথ্য আছে।পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চল হতেও দেশের উত্তর-পূর্ব এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। উল্লেখ্য যে,চেরাপুঞ্জির অবস্থান বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সিলেট-সুনামগঞ্জ জেলা ঘেঁষে।ফলশ্রুতিতে পাহাড় বেয়ে চেরাপুঞ্জি তথা মেঘালয় হতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চল হয়ে সুরমা নদীতে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিশে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
আমরা অবগত আছি যে,২০২২ সালের স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টিতে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে প্রবল ভারী বর্ষণ প্রধান সহায়ক।এবং বিশ্লেষকগণও একেই দায়ী করেন।বিশ্লেষক ও সাধারণদের মতেও মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির পানি পাহাড় বেয়ে নেমে আসার ফলে সেই সাথে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলেও বৃষ্টিপাতের আধিক্যতার কারণে এই দুই মিলে এই অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়।কিন্তু বাস্তবতা কি আসলেই তাই? আকস্মিক এই বন্যার জন্য কি পাহাড়ি ঢলই একা দায়ী?সত্যি বলতে বাস্তবতা আসলে ভিন্ন কথা বলে।জলবায়ু ও আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে বটে,তবে বন্যা সৃষ্টিতে তার দায়ভার একার নয়।এর মধ্যে রয়েছে মানবসৃষ্ট যথোপযুক্ত কারণ,নদী ও হাওরের তলদেশ ভরাট ও দখল,বন্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভাব,অপরিকল্পিত নগরায়ন,আবাদি জমি ও খাল-পুকুর-জলাশয় দখল,হাওরে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ এর উল্লেখযোগ্য কারণ।বন্যার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে নদী ভরাট।স্রোতস্বিনী সুরমা পলি ও বর্জ্যে ভরাট হয়ে মৃতপ্রায়। অতি নিকটে এর পানি প্রবাহের গতি প্রবল থাকলেও বর্তমানে পানি প্রবাহের গতি অত্যন্ত ধীর।সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের প্রধান নদী সুরমা।মেঘালয়ের মনিপুরী পাহাড় হতে বরাক নদী বাংলাদেশের জকিগঞ্জ উপজেলা দিয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নাম ধারণ করে প্রবাহিত হয়।এর সুরমা অংশ প্রবাহিত হয়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে।সুরমার প্রবেশ মুখ বালি ও পলি দ্বারা প্রবাহিত হলে বরাক নদীর স্রোত তার গতিপথ পরিবর্তন করে সুরমাকে বিসর্জন দিয়ে শুধু কুশিয়ারা নদী দিয়ে প্রবাহিত হলে এক সময়ের স্রোতস্বিনী সুরমা এখন মরা নদীতে রূপান্তর হয়েছে।উজানের ঢলে ভেসে আসা বালি-পলি ও সিলেট শহরের লাখ লাখ টন পলিথিন বর্জ্য সুরমাকে পরিণত করেছে মরা নদীতে।একসময়ের গভীর নাব্যতা বজায় রাখা সুরমা পুরো বর্ষায় বন্যা ও হেমন্ত মৌসুমে পানি সংকটে দুই জেলার লাখো লাখো মানুষকে ফেলেছে চরম ও কঠিন ভোগান্তিতে।শুধু নাব্যতা হারিয়েই ক্ষান্ত হয়নি একসময়ের স্রোতস্বিনী এই নদী।বালি ও পলি জমে এবং বর্জ্যের স্তূপে সুরমার দুই পাড় এখন অনেকটাই সংকুচিত।একসময় যে নদী দিয়ে বড় বড় কার্গো ও জাহাজ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতো সেই সুরমার বুক এখন আঁটকে দিচ্ছে ছোট ছোট নৌকা।চরম তৃষ্ণায় কাতর সুরমার বুকে এখন হাহাকার,জল গিলার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও নাব্যতা হারিয়ে জমে যাওয়া বালি-পলি,বর্জ্য যেনো সুরমার গলার কাঁটা।শুধু প্রধান নদী সুরমাই নয়,সুরমার সকল শাখা নদী-উপ নদীও হারিয়েছে তাদের নাব্যতা।ভরা বর্ষায় নদী উপচে পানি জনসাধারণের ঘরবাড়িতে ডুকে গেলেও হেমন্তে শুকিয়ে মরাগাঙ।সুরমা আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মেঘনার মোহনা সৃষ্টি করে উত্তর পূর্ব অঞ্চলের পানি বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত করলেও সুরমার অন্যতম প্রধান শাখা নদী কালনী সুরমার অধিকাংশ পানি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ঘোরকাটা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নদীতে প্রবাহিত করছে।অতি নিকটে এই কালনী নদীর গভীর নাব্যতা থাকলেও বর্তমানে নাব্যতা সংকটে নদীর পানি প্রবাহ বর্ষায় দ্রুত গতি ধারণ করলে দুই পাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।এতে করে ঘরহারা হচ্ছে শত শত পরিবার।শুধু কালনী নদীই নয়,রক্তি,বৌলাই,পাটলাই,মহাংসীসহ সুরমার প্রায় ২৫ টির অধিক শাখা নদী ও উপনদীসহ নাব্যতা সংকটে।
দেশের অধিকাংশ হাওরের অবস্থান সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে।টাঙ্গুয়া হাওর,হালির হাওর,শনির হাওর,দেখার হাওর,মাটিয়ান হাওর,হাকালুকি হাওরসহ সহ ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক হাওরের অবস্থান এই দুই জেলায়।নদীর ন্যায় পলি-বালি জমে হাওরগুলো গভীরতা হারানোসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে হাওর ঘিরে অপরিকল্পিত নগরায়ন,বসবাসের জন্য বসতবাটি নির্মাণ করায় দিন দিন সুবিশাল হাওরগুলোর আয়তন কমে আসছে।এতে করে হাওরগুলো তাদের পানি ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে।শুধু তাই নয়,হাওর জুড়ে অসংখ্য অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ,অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট নির্মাণ পানি প্রবাহের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।সম্প্রতি কালে কিশোরগঞ্জের নিকলীর হাওরে ইটনা-মিঠামইন সড়ককে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা সৃষ্টির জন্য অন্যতম দায়ী হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জের সবকটি নদনদী ও হাওরের সরাসরি মেঘালয় পাহাড়ের সাথে সংযোগ রয়েছে।এমতাবস্থায় চেরাপুঞ্জির মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির পানি সরাসরি এই অঞ্চলে নেমে আসছে।পানি নেমে আসার পর নদনদী ও হাওরের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় উক্ত পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
এতো গেলো বন্যা সৃষ্টিতে আমাদের নিজ ঘর কর্তৃক সৃষ্ট কারণের কথা।দেশের উত্তর-পূর্ব এই অঞ্চলে বন্যা সৃষ্টিতে অন্যতম দায়ী হিসেবে কাজ করছে মেঘালয়ের পাহাড়।সম্প্রতি কালে মেঘালয়ের পাহাড়ে নির্বিচারে গাছ কাঁটার ফলে পাহাড় পানি ধরে রাখতে পারছে না।গণ জঙ্গল বা গণ বন পেরিয়ে পানি নিচে নেমে আসতে তুলনামূলক বেগ পোহাতে হয়।মেঘালয়ে গাছ কাঁটার ফলে অতিদ্রুত গতিতে পানি নেমে আসার ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি জমে বন্যার সৃষ্টি করছে।

২/ বন্যা নিয়ন্ত্রণে শুধু সমাধান নয়,স্থায়ী সমাধান কী?
বন্যার সৃষ্টি হলেই এর সমাধান নিয়ে দু-এক কথা হয়।সমাধানে প্রকল্প হাতে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয় বটে।কিন্তু বাস্তবায়নে তেমন জোড়ালো কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নেয়নি।
দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের এই অংশের জনসাধারণকে বন্যা নামক চরম ভোগান্তি ও ক্ষয়ক্ষতি হতে বাঁচাতে সুরমা’র সম্পূর্ণ অংশ সহ এর শাখা নদী ও অন্যান্য নদী খননের বিকল্প নেই।একমাত্র নদী খননই এর স্থায়ী সমাধান হতে পারে।কিন্তু নদী খননে কর্তৃপক্ষ যেনো একেবারে নিশ্চুপ।গত ১১ বছরে সুরমা নদী খননে ০৪ টি প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও একটি প্রকল্পও দেখেনি সম্ভাবনার মুখ।২২শের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুরমা নদী খননে একটি প্রকল্প হাতে নিলেও ০৬ মাসের প্রকল্প শেষ হয়নি দেড় বছরেও।উক্ত প্রকল্পে সিলেটের কুশিঘাট হতে লামাকাজী পর্যন্ত মোট ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ কিলোমিটার খননের কথা থাকলেও দেড় বছরেও অর্ধেক খননের কাজ শেষ হয়নি।উল্লেখ্য যে,২৪৯ কিলোমিটার এই নদীর সম্পূর্ণ অংশই যেখানে তার নাব্যতা হারিয়েছে সেখানে এটুকু খননে কতটুকু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ হবে প্রশ্ন থেকে যায়। শুধু সুরমার দীর্ঘ ২৪৯ কিলোমিটারই নয়,মরা সুরমা,কালনী সহ অন্যান্য নদীগুলোও অচিরেই খনন করে নাব্যতা বাড়াতে হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
সিলেটের কুশিঘাট হতে খনন কাজ পরিচালনা কতটুকু যৌক্তিক সেটাও প্রশ্ন থেকে যায়।যেখানে সুরমার উৎসস্থলের দীর্ঘ অংশের বিভিন্ন স্থানে বালি-পলি জমে একাধিক চর জেগেছে আছে সেখানে এই খনন কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে সেটা ভাবার বিষয়।সুরমার উৎপত্তিস্থল জকিগঞ্জের অমলসিদে হতে জকিগঞ্জের লোভা নদী পর্যন্ত চর জেগে সুরমার মুখ ভরাট হয়ে থাকায় অমলসিদে হতে খনন কাজ পরিচালনা করাকেই যৌক্তিক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
নদী খনন সহ পলিথিন,প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য হতে সুরমাকে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হতে পারে বন্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সহায়ক।সিলেট শহরের লাখ লাখ টন পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য জমে সুরমা পরিণত হয়েছে একটি উন্মুক্ত ডাস্টবিনে।অচিরেই এই সকল বর্জ্য হতে সুরমা নদী রক্ষা করতে না পারলে সুরমা ভরাট অতি নিকটের ব্যাপার মাত্র।জমে থাকা এসকল বর্জ্য বালি ও পলি আটকে সুরমার বুকে চর জাগাতে প্রধান ভূমিকা পালন করছে।সুতরাং বলাই যায়- প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য হতে সুরমাকে বাঁচাতে যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।শুধু সিলেট শহরের অংশই নয়,জেলা শহর সুনামগঞ্জ ও সুরমা নদী ঘিরে অবস্থিত সকল উপজেলাগুলোর এসকল বর্জ্য হতেও সুরমাকে রক্ষা করতে হবে।এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার সচেতনতার বিকল্প নেই বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।পাশাপাশি বন্যা প্রতিরোধে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সুইস গেইট নির্মাণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবাদি জমি দখল মুক্ত করে অপরিকল্পিত নগরায়ন ঠেকানো না গেলে আদৌ বন্যা প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণে অতিরিক্ত জমি দখলের পরিবর্তে নির্মাণ কাঠামোতে বহুতল ভবনের কৌশল অবলম্বন করে জমি বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহণই কেবল পাহাড়ি ঢলের পানি গ্রাসের ক্ষমতা রাখতে পারে।বন্যা প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে একটা চমৎকার উদ্যোগ হতে পারে নতুন করে হাওরে খাল খনন।এতে করে কৃষকের যেমন ফসল উৎপাদন ও উত্তোলন সহজতর হবে তেমনি বন্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।
সচেতন মহল ও বিশ্লেষকরা উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে দেশের উত্তর-পূর্ব এই অঞ্চলের বন্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে করেন।উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলো ছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনসাধারণকে বন্যার পূর্বাভাস ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগও জরুরি।এছাড়াও প্রচুর পরিমানে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে।

লেখক ও কলামিস্ট
আবু তালহা বিন মনির
শিক্ষার্থী, জামালগঞ্জ সরকারি কলেজ