জামালগঞ্জে সাবেক এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আলী আমজাদ চৌধুরী স্মরণে ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৪

জামালগঞ্জে সাবেক এমপি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আলী আমজাদ চৌধুরী স্মরণে ইফতার মাহফিল

আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নেতা আলী আমজাদ চৌধুরীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে মরহুমের গ্রামের বাড়ী উপজেলার ফেনারবাক গ্রামে ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা,দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তাঁকে স্মরণ করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হকের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আফিন্দি রাজু,উপজেলা আওয়ামী লীগৈর সভাপতি মোহাম্মদ আলী, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মান্নান তালূকদার, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল বারী রফিক.কমরেড আব্দুস সাত্তার,সম্ভু আচার্য্য, ইয়াহিয়া সাজ্জাদ, আব্দুল আওয়াল,আবুল খয়ের তালুকদার,কৃষকলীগ নেতা ইয়াকলিমুর রাজা চৌধূরী মানিক,জালাল আহমদ ও শেরন আহমদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

উল্লেখ্য পাকিস্তান আমলের এই আওয়ামীলীগ নেতা ২ বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে ১৯৬৪ সালে মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন করেছিলেন। বেসিক ডেমোক্রেসির এই নির্বাচনে তিনি মাত্র এক ভোটে পরাজিত হন। এরপরেই তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ালীগের রাজনীতিতে নিজেকে বিলিয়ে দেন। ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে গ্রামে গ্রামে গিয়ে লিফলেট বিলি করে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন। নিজে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হয়েও ৬৮, ৬৯, ৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেন। ৬৮ সালে জামালগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রথম কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ৭০ এর এমএনএ ও এমপিএ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাটি অঞ্চলে লঞ্চযোগে আগত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরসঙ্গী হয়ে ৩৩টি জনসভা সাফল্যমন্ডিত করতে বলিষ্ঠ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ৭১ এ জামালগঞ্জ থানা মুক্তিসংগ্রাম কমিটির ৫ সদস্যের একজন হয়ে টেকেরঘাট সাবসেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ এর পরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে সেনাবাহিনী কতৃক নির্যাতিত হন। সেনা সরকারের চাপে পারিবার ছেড়ে নির্বাসনে দিন কাটিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে ভংগুর আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখেন। সেই দুর্দিনে সামরিক সরকারের চাপ ও হুমকি মোকাবেলা করে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও ১৯৭৯ সালে সুনামগঞ্জ ২ নির্বাচনী এলাকা দিরাই শাল্লা ও জামালগঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীকৈ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ এবং দলকে সুসংগঠিত করেন। ১৯৮২ সালে আবারো সামরিক সরকারের চাপ উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি গঠনে অসুস্থতা নিয়েও কাজ করেন। ১৯৮৬ সালে আবারো দলের প্রয়োজনে নিজের প্রার্থিতা ছেড়ে নৌকা প্রতীকে ৮ দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী কমরেড প্রসুণ কান্তি রায় (বরুন রায়) এর পক্ষে নির্বাচন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি গ্রামের বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন।

আল-হেলাল
সুনামগঞ্জ
মোবাইল : ০১৭১৬-২৬৩০৪৮

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ