নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া: দরিদ্র,মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস

প্রকাশিত: ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২৪

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া: দরিদ্র,মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস

তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

রমজান মাসে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কাঁচাবাজার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া যাহা দরীদ্র ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাহিরে। ভুক্তা অধিকার দিবস পালন করলেও ভুক্তা অধিকার নিশ্চিত করা হয়না। প্রতিদিনই বাজারে দাম বাড়াচ্ছে একদল ব্যাবসায়ী কিন্তুু তাদের খবর রাখেনা কেউ।
শুক্রবার সকালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় রমজান মাসের আগে যে শসা বিক্রি হত ৪০ টাকা কেজি আজ সে শসা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি চিনি সেন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি,বেগুন ৬০ টাকা কেজি, আলু ৬০ টাকা কেজি,টমেটো ৫০ টাকা কেজি,পিয়াজ ৯০ টাকা কেজি,বড়বটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা ব্রয়লার মুরগী ২৩০ টাকায় বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা।

তাহিরপুর এলাকার বাসিন্দা সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন প্রতিদিন কোন না কোন জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে রমজান মাসের আগে বাজারদর ছিল এক রকম, রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে বাজারে সবজি সহ সকল জিনিস পত্রের দাম আগুনের মতো বেড়ে গেছে তাথে করে আমাদের মতো নিম্ম মধ্যবিত্বরা দিশেহারা। প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেত।

ঠেলাগাড়ি চালক সামছুল হক বলেন আমরা গরিব মানুষ সারাদিন জাহা রোজকার করি তা দিয়ে দুই কেজি চাল ২৫০ গ্রাম কাচা মরিছ,৫০০ গ্রাম পিয়াজ, একটু তেল কিনলে টাকা শেষ হয়ে যায়।এভাবে যদি জিনিস পত্রের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের গরীব মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে। তারাতাড়ি জিনিস পত্রের দাম কমাতে সবাইকে অনুরুধ করি।

তাহিরপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলমাজ মিয়া বলেন আমরা মোকাম থেকে মালামাল কিনতে হয় দাম দিয়ে তাহলে আমরা কমদামে বিক্রি করবো কিভাবে বাজারে সিন্ডিকেট থেকে আমরা চিনি কিনি দাম দিয়ে বিক্রি করি ১১০ টাকা ১২০ টাকা কেজি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যারা আছেন তারা যদি বাজার মনিটরিং রাখেন তাহলে হয়তো খানিকটা দাম কমে আসতে পারে। বাজার নিয়ন্ত্রণ আসলে আমরাও কমদামে বিক্রি করতে পারবো।

তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি কেউ যদি অযাচিত ভাবে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের হয়রানি করে তাদের আমরা ভ্রাম্মমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানার আওতায় আনবো।