ফসলরক্ষা বাঁধে সবজি চাষ,দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাঁধ মেরামত কাজ

প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪

ফসলরক্ষা বাঁধে সবজি চাষ,দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাঁধ মেরামত কাজ

সেলিম আহম্মেদ, ধর্মপাশা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ফসলরক্ষা বাঁধের জায়গা দখল করে হরেক রকম সবজি চাষের অভিযোগ উঠেছে। এতে দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ফসলরক্ষা মেরাতের কাজ।

উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী নূর (৪০) এই কাজে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ২১নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসির) সভাপতি রবিউল মিয়া রোববার (১১ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামড়ল হাওরটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। এই হাওরের সীমের খাল ফসলরক্ষা বাঁধের ২১নম্বর পিআইসির সভাপতি রবিউল মিয়া ও সদস্য সচিব হলেন অজিত তালুকদার। বাঁধটির দৈর্ঘ দুই কিলো ৩০০মিটার। এর বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪লাখ ৫০হাজার ১২৫টাকা। হাওর থেকে দেরিতে পানি নামায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এই বাঁধ পুননির্মাণ ও মেরামত কাজ শুরু করা হয়। এই বাঁধের দুই হাজার তিনশত মিটার স্থানের মধ্যে দুই হাজার ২০০মিটার স্থানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০০মিটার জায়গায় রয়েছে মিষ্টি লাউ,কাঁচামরিচ ও বেগুন খেত। গত শনিবার (১০ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে অবশিষ্ট স্থানে মাটি ভরাটের কাজ করতে গেলে বাঁধের এই ১০০মিটার স্থান নিজের দাবি করে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে পিআইসির লোকজনকে বাধা দেয় ওই ইউনিয়নের বাদেহরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী নূর। এ অবস্থায় বাঁধের কাজটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলার সোনামড়ল হাওরের ২১নম্বর পিআইসির সভাপতি রবিউল মিয়া বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের ওপর ১০০মিটার জায়গা জুড়ে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়েছে। আমরা এই স্থানে কাজ শুরু করতে গেলে আমাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার সকাল থেকে বাঁধ পুননির্মাণ ও মেরামত কাজটি বন্ধ রয়েছে।

উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদেহরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী নূর (৪০) বলেন,এই বাঁধের কাজটি আমি গত তিনবছর করেছি। আমার রেকর্ডীয় ১৫একর জায়গার ওপর দিয়ে এই বাঁধটি নেওয়া হয়েছে। আমি এবার আবেদন করেও পিআইসি হতে পাইনি। আমার জায়গায় আমি সবজি খেত করেছি। সরকারি জায়গা হলে আমি তা ছেড়ে দেব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের অ্যালাইমেন্টের ভেতরে ফসলরক্ষা বাঁধের ওপরে কোনো ফসলি জমি করা যাবে না। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।