প্রকাশিত: ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩
এম এ মান্নান,মধ্যনগর:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের রুপনগর গ্রামের আলমগীর (১৯) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মধ্যনগর থানার পুলিশ। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালের দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল উপজেলা ও বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানাযায়, আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে সোয়েল মিয়াকে (৩৩) কিশোরগঞ্জের তারাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আলমগীরের সৎ ভাই, শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান ওরফে লাল চান (৩৬), তদন্তে প্রাপ্ত আসামি ইছামারী গ্রামের মো. ছায়েব আলীর ছেলে আব্দুল হক (৩২) এবং রূপনগর গ্রামের ছুন্নত আলীর ছেলে জয়নাল হককে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামি লাল চান ও নিহত আলমগীর সম্পর্কে সৎভাই। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আলমগীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের বাকাতলা গ্রাম থেকে অপহরণ করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট নিহত আলমগীরের মা মোছা.মমতা বেগম(৫৫)বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন বিকাল সাড়ে তিনটায় তাহার নিজ বাড়ি হইতে বাহির হইয়া যাওয়ার ২ দিন পরেও ফিরে আসছে না দেখে তার ভাই মো.জাহাঙ্গীর মিয়া ১৯ জুন মধ্যনগর থানায় এসে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যনগর থানার সাধারণ ডায়েরি নং-৭৯৫ মূলে ডায়েরি ভুক্ত করা হয়।খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ২৫ জুন সকাল সাড়ে নয়টার সময় ভিকটিম মোঃ আলমগীর হোসেন এর মৃতদেহ মধ্যনগর থানাধীন বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের ১১৯০/৭ এস মেইন পিলার হইতে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রংডংগা নতুন গারো বস্তির জঙ্গলে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায় । বিজিবি এর মাধ্যমে বিএসএফ ও ভারতীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হইলে গত ২৭ জুন বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় থানা পুলিশ সন্ধ্যা ৬ টার সময় ভিকটিম আলমগীর হোসেন এর লাশ মধ্যনগর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। মধ্যনগর থানা পুলিশ মৃত: আলগীর হোসেন এর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, আলমগীরকে সম্পত্তি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest