সুনামগঞ্জে বসেছে পশুর হাট, দাম বেশী হওয়ায় বিক্রি কম

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৩

সুনামগঞ্জে বসেছে পশুর হাট, দাম বেশী হওয়ায় বিক্রি কম

স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাটে বসেছে পশুর হাট। কিছু কিছু হাটে বেচাকেনা শুরু হলেও দাম বেশী হাঁকায় জমে উঠেনি পশুর হাট। পশুর হাটে বেচা-বিক্রির জন্য স্থল ও জল পথে গরু আসতে শুরু করেছে। ক্রেতারা বিভিন্ন বাজারে গরু কেনার জন্য ঘুরছেন। গেল বারের তুলনায় অধিক দাম হওয়ায় গরু না কিনেই ফিরছেন তারা।

এদিকে সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে হাটে থাকছে প্রশাসনের মনিটরিং সেল। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত ব্যাপারীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত বুধবার দিনে সদর উপজেলার জয়নগর হাে গরু নিয়ে এসেছেন মেহের আলী। তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরই এখানে গরু নিয়ে আসি। একটু আগে-ভাগে না এলে জায়গা পাওয়া যায় না। আমাদের আরও গরু আসবে। আগেই কিছু গরু এনেছি, বাকিগুলো পরের বাজারে ঢুকবে। এ হাটে কথা হয় হাসান নামে এক ব্যাপারীর সঙ্গে।

তিনি বলেন, আমরা বাজারের পাশে গরুগুলো রেখেছি। এবার গরুর খাবারের দাম বেশি। পশুপালনে খরচ বেশি হওয়ায় দামও বেশি পড়বে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাটে আসায় ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। কেউ কেউ গরুর দরদাম জানতে চাইছেন। তাদের অনেকেই দরদাম করে বাজার যাচাই করতে আসছেন।

আবুল হোসেন নামে ওয়েজখালীর এক বাসিন্দা বলেন, আমি গরুর বাজার কেমন হতে পারে তা যাচাই করতে এসেছি। গরু এখন কিনলে রাখার জায়গা নেই। চাঁদরাতে কেনার ইচ্ছা আছে। শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে লোকমান বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেশী। পরিবহন খরচ বাড়ছে। ক্রেতারা যে দামে গরু কিনতে চাচ্ছেন সেই দামে গরু বিক্রি হচ্ছে না। সে হিসেবে লোকসানের আশংকা করছেন তিনি।

ক্রেতা তানভীর আহমেদ বলেন, তিনটি হাট ঘুরেছি। আজ বাদাঘাট গরু কিনতে যাই। দাম বেশী হওয়ায় কিনতে পারেনি। যে গরুর দাম ৬০ হাজার টাকা সেটি ৮০/৯০ হাজার টাকা ছাড়া বিক্রি করছেন না পাইকরা। জয়নগর গরুর হাটের ইজারাদার তৈয়বুর রহমান জানান, হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। দাম একটু বেশী হলেও মোটামুটি বিক্রি ভালই। আগামী বাজার দাম আরও কমবে।