সুনামগঞ্জে শেষ হলো তিন দিন ব্যাপী গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২৩

সুনামগঞ্জে শেষ  হলো তিন দিন ব্যাপী গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা

স্টাফ রিপোর্টার : বিলুপ্ত প্রায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌড় (ঘোড়দৌড়) প্রতিযোগিতা। প্রতি বৎসরের ন্যায় সুনামগঞ্জের যে কয়েক টি উপজেলায় ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় তার মধ্যে একটি সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঐহিহ্যের টানে ঝাঁক ঝমকপূর্ণ ভাবে তিন দিন ব্যাপী এ ঘোড়া মেলা অনুষ্টিত হল। গত ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ইছাখড়ি মাঠে ঘোড় দৌড় শুরু হয় এবং সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় একই মাঠে ফাইনাল দৌড় ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। দেড় শতাধিক ঘোড়ার সমন্বয়ে দৌড় সমাপ্ত হয় এবং সর্বশেষ ফাইন্যালে সোনার পুতুল, সোনার মুকুট এবং সূর্য কিরণ প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে বিজয়ী হয়। এতে ফাইনাল দৌড়ে ১ম স্থান দখল করে সোনার পুতুল, দ্বিতীয় হয় সোনার মুকুট এবং তৃতীয় স্থানে বিজয় লাভ করে সূর্য কিরণ। যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবুল আজাদ’র সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ইছাখড়ি মাঠে এলাকাবাসী কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে দেড় -শতাধিক ঘোড়া, দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে দৌড়ে অংশ গ্রহন করে পর্যায়ক্রমে তারা ফাইন্যাল খেলায় অংশ গ্রহন করে। প্রতিটি ঘোড়ার সাথে ৩থেকে ৪জন লোক থাকে। প্রতিদিন মাঠের চার পাশে হাজার হাজার মানুষের সমাগম গঠে। এতে নারী পুরুষ যুবক শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত হয়। আয়োজক কমিঠির লোকজন জানান ঐতিহ্যবাহী এ মেলা আমাদের অঞ্চল হতে দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলছে। আমরা প্রতি বছর এলাকাবাসীর অনুমতি নিয়ে এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে একটি মাঠ নির্বাচন করি। প্রশাসনের উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে খেলাটি পরিচালনা করি। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করাটা অনেকটা কষ্ট সাদ্য হলেও কোন প্রকার প্রচার প্রচারনা ছাড়াই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ঐহিয্যবাহী খেলাটি আয়োজন করি। এক নজর ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে হাজার হাজার নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করে খেলার মাঠে। আগে থেকেই প্রচার প্রচারনা করে খেলাটি আয়োজন করা হলে মাঠে কয়েক লক্ষ্য লোক সমাগম ঘটত এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করত। এছাড়া কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়া খেলাটি সমাপ্ত করায় এলাকাবাসীকে এবং খেলায় আগত দর্শকবৃন্দকে কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।