কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি; সড়ক ও পরিবেশ হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৩

কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি; সড়ক ও পরিবেশ হুমকির মুখে

তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : চলছে ফসলী জমির মাটিকাটা উৎসব। এক ফসলী কৃষি জমি পরিনত হচ্ছে পুকুর-ডোবায়। ফসলের উৎপাদন কমছে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। মাটি পরিবহনে ভারী ট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রলি ব্যবহারে ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। আইন অমান্য করে এমনি কর্মকাণ্ড চলছে সদর ইউনিয়নে অবৈধ মাহেন্দ্র চলাচলের কারনে ধুলার কুয়াশায় ডেকে গেছে উপজেলা সদর অফিস আঙ্গিনা এবং স্কুল কলেজ।
এমনি চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত শনির হাওরে। হাওর থেকে অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে একটি মহল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাহিরপুর বালিকা বিদ্যালয় এবং উপজেলা সদর অফিস পাড়া পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় ধুলার কুয়াশায় ডেকে গেছে। এতে করে যাতায়াতে নানা শ্রেণির মানুষের শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনমনে ক্ষোভ। ধুলার কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা। চলাচলকারী মানুষজন পড়েছে ধুলোবালির বিড়ম্বনায়।

উজান তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা বারিক মিয়া বলেন ১ ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে মাঠি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি মহল,ধুলাবালিতে নষ্ট করছে পরিবেশ। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারেনা ধুলার কারনে।কুটি কুটি টাকা খরছ করে সড়ক নির্মান করা হয়েছে। আর কিছু ব্যাবসায়ী তাদের মুনাফা লাভের জন্য ট্রাক এবং মাহেন্দ্র টলি চালিয়ে সড়ক কে ধ্বংস করছে আমরা উপজেলা প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান সড়ক দিয়ে চলাচল করার সময় মাটি পরিবহন করা মাহেন্দ্র ট্রলি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করার কারনে আমরা আতঙ্কে থাকি, ধুলাবালির কারণে নাক চেপে স্কুলে আসা যাওয়া করতে হয় সেই সাথে পোষাক নষ্ট হয় এবং পরিবেশ দুষন হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি বলেন,এই বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।