জামালগঞ্জ হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০২৫

জামালগঞ্জ হাসপাতালে  ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

আব্দুস সামাদ আফিন্দী, বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি সংকট ও খাদ্যদূষণ ডায়রিয়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অনেক এলাকাতেই বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে রান্না করা খাবার খাওয়ার কারণে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
একারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি বাসাবাড়ি থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।
গত একমাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪শ৬০ জন রোগী। এরমধ্যে বেশির ভাগই শিশু।চিকিৎসকরা বলছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে মে মাসের দিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। হঠাৎ অতিরিক্ত গরম বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর বা বাসি খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। প্রথমকয়েকদিন আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর চাপ। এতে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ারোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ডায়রিয়া আক্রান্ত রুগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে,গত এক মাসে রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮শ৮০ জন, এরমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪শ৬০ জন। রোগীর বেশীর ভাগই ফেনারবাঁক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের। গত এপ্রিল মাসে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয় ১শ৪০জন। বর্তমানে হাসপাতালে৪২জন রোগীর মধ্যে ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে শিশুই বেশী।
জামালগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিশু রোগীর মা সমিতা বালা দেবী বলেন, হাসপাতালে শিশুনিয়ে ৪দিন হয় আছি। ডায়রিয়ার কোন স্যালাইন নেই। স্যালাইনসহ সমস্ত ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। এছাড়াও টয়লেটের সমস্যা রয়েছে, রোগীদের টয়লেটে যেতে হলেও লাইনধরে যেতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল বাতেন জানান, গত মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়া রোগী ৪শ৬০ জন। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশী। গত এক সপ্তাহে ১শ৪০ জন এর বেশী ডায়রীয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে ৪২ জন, এর মধ্যেবেশীর ভাগই শিশু।
তিনি বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। একারণে বাইর থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। স্যালাইন আসলে, বাইরে থেকে আনতে হবেনা।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত গরমে বিশুদ্ধ পানি পান না করার কারণে সমস্যা হচ্ছে। বেশী করে খাবার স্যালাইন ও নরম জাতীয় খাবার খেতে হবে। তবে বাইরের খাবার না খাওয়াই উত্তম।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ