প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
ভাটির কন্ঠ ডেস্ক :: প্রতারনা, আত্মসাত, গর্ভপাত, পরনারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কসহ একাধিক নারী নির্যাতন মামলায় জেল খাটা সিলেট ওসমানী হাসপাতালের স্টাফ নার্স মহেশ বিশ্বাস ও তার প্রেমিকা স্টাফ নার্স প্রিয়লক্ষ্মী রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। সম্প্রতি মহেশ’র কর্মস্থল সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থার সুপারিশপত্র গ্রেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থার সুপারিশ আমলে নিচ্ছে না নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর। এমন অভিযোগ করেছেন মহেশ বিশ্বাসের বৈধ স্ত্রী ভেক্তাভোগী নমিতা রাণী বিশ্বাস।
অভিযোগে প্রকাশ, গোপালগঞ্জের কোটালী পাড়ার মেয়ে নমিতা রাণী বিশ্বাস ও সিলেটের জকিগঞ্জ থানার বিরশ্রী বিপক গ্রামের মহেশ বিশ্বাস লিবিয়ায় কর্মরত ছিলেন। একসাথে সেখানে থাকার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠলে ২০১৩ সালে দেশে র্ধমীয় রীতিতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে সিলেটের জকিগঞ্জ ও নগরে বসবাস শুরু করে মহেশ বিশ্বস সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্টাফ নার্স পদে চাকরি নেয়। বিদেশে থাকাবস্থায় ও দেশে ফিরে মহেশ রায় সংসারের নামে স্ত্রী নমিতা রাণীর বিদেশ থেকে কষ্টার্জিত প্রায় ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। বৈবাহিক সময়ে মহেশ বিশ্বাসে কৌশলে ২ বার নমিতার গর্ভপাতও ঘটান এবং তার কাছে বড় অংকের যৌতুক দাবি করতে থাকেন। এ সব ঘটনায় নমিতা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা {পিটিশন নং-৭৭/১৭} দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন আপোসের অঙ্গীকারে মহেশ বিশ্বাস জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী নমিতাকে নিয়ে সিলেটে আসেন। এখানে অবস্থান করে ফের কৌশলে নমিতার গর্ভপাত ঘটান এবং তাকে ছেড়ে ওসমানী হাসপাতালের অপর স্টাফ নার্স প্রিয়লক্ষ্মী রায়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রিয়লক্ষ্মীকে নিয়ে সিলেট নগরে বাস করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চাকরি করতে থাকেন মহেশ বিশ্বাস। এসময় মহেশ ও প্রিয়লক্ষ্মী মিলে যৌতুক দাবিতে নমিতার উপর নির্যাতন শুরু করেন। বাধ্য হয়ে নমিতা ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মহেশ ও প্রিয়লক্ষ্মীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা {নং-৬৯(১০)২১} করেন। এ মামলায় কারাভোগ করে মহেশ বিশ্বাস ও প্রিয়লক্ষ্মী বর্তমানে জামিনে আছেন। কিন্তু এরই মধ্যে গোপালগঞ্জের মামলায় মহেশ জেলে চলে যান। এ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল পরিচালক মহেশ বিশ্বাসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। জেলে না থাকায় স্বপদে বহাল থেকে যান মহেশের অবৈধ প্রিয়লক্ষী রায়। মহেশ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করার পর সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর পরিচালক বরাবরে সুপারিশ পেশ করেন। যা ওসমানী হাসপাতালের স্মারক নং ৬০২৩/১(১)। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও প্রতারক ও নারী নির্যাতনকারী মহেশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না নার্সিং ও মিডওয়াইাফারী অধিদপ্তর। অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মহেশ বিশ্বাসের বৈধ স্ত্রী নমিতা রাণী বিশ্বাস। নির্যাতিতা ও অবলা নমিতা এ বিষয়ে বর্তমান সরকার কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest