প্রকাশিত: ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
জাকিয়া সুলতানা, সুনামগঞ্জ: সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব এখনও সীমিত হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে অংশগ্রহণ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ১২৮ জন নারী রিটার্নিং অফিসারদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাছাই, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বী নারী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ জন, যা অন্য যেকোনোবারের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নারী প্রার্থী ২৩ জন। যদিও সংসদ নির্বাচনের আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের কমিটির ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ সদস্য নারীদের জন্য রাখার বিধান রাখা হলেও তা পূরণের চেষ্টা অনেক দলেরই নেই।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬৯ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ছিলেন ১৮ জন। জাতীয় সংসদের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সরাসরি ভোটে লড়েছিলেন মাত্র দুজন নারী।
তা-ও প্রধান দল থেকে নয়। তারা জয়লাভ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে ১৩ নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। সে সময় ক্ষমতাসীন দলে একজনও নারী প্রার্থী ছিলেন না।
ওই নির্বাচনে তিন নারী প্রার্থী উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোট পেলেও জিততে পারেননি। পরে মুসলিম লীগের খান এ সবুরের একটি অতিরিক্ত আসন খুলনা-১৪-এর উপনির্বাচনে একই দল থেকে নির্বাচিত হন সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ। এ হিসেবে তিনিই প্রথম নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য। নারীরা সরাসরি নির্বাচনে সফলতা লাভ করেন তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে। এ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাসহ তিনজন নারী প্রার্থী নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন তিনটি আসন থেকে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর পঞ্চম সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন খালেদা জিয়া। পরের ৩২ বছরের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আড়াই বছর বাদ দিয়ে বাকি সময় দেশের প্রধান নির্বাহী তথা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে নারীরাই রয়েছেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৫৯ জন। এরপর কমেছে আবার। দশম সংসদ নির্বাচনে ছিলেন ২৯ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৬৯ নারী প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩৮২ স্বতন্ত্রসহ মোট প্রার্থী ১৮৯৫
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে এবারের নির্বাচনে ৩৮২ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ১ হাজার ৮৯৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন যারা, তাদের এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে আওয়ামী লীগের ২৬৩ (উচ্চ আদালত থেকে আরও তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন), জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির ১৩৩, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৫, সুপ্রিম পার্টির ৭৯, জাসদের ৬৪, মুক্তিজোটের ৬৩, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৪, বিএনএফের ৪৫, ইসলামী ঐক্যজোটের ৪২, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩৯, তরীকত ফেডারেশনের ৩৮, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩৭, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৯, ওয়ার্কার্স পার্টির ২৬, গণফ্রন্টের ২১, জাকের পার্টির ২১, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৩, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ১১, বিকল্পধারার ১০, গণফোরামের ৯, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ৫, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৫, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪ ও বাংলাদশ সাম্যবাদী দলের ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। মোট ২৭টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest