সানজাব উস্তার : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল এলাকায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে স্থানীয় খাল ভেঙে যাওয়ার পর থেকে জনদুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এটি বড়দল পুরানহাটি ও নতুনহাটির মাঝামাঝি সড়ক সংলগ্ন ব্রিজটির দু’পাশের সংযোগ মাটি সম্পূর্ণ সরে গিয়ে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এই ব্রিজটি তাহিরপুর–টাকারঘাট সাবমার্জিবল সড়ক—যা উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথ। শ্রীপুর উত্তর, বড়দল উত্তর ও বড়দল দক্ষিণ—এই তিন ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন তাহিরপুর বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জরুরি কাজে এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন। সংযোগ সড়ক মাটিহীন হয়ে পড়ায় এখন তাদের পথচলা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকেই সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় যানবাহন ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। ভাঙাচোরা পথ পেরিয়ে রোগী, শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন,
“এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিবছরই রাস্তার ড্রেসিং ও ছোটখাটো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দিই। চলতি বছরও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ব্রিজের দুই পাশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামান্য বরাদ্দ দিয়ে করা সম্ভব নয়—এটি বড় ধরনের কাজ।”
চেয়ারম্যান আরও জানান, এই সড়কটি কেবল ইউনিয়ন নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার সাথে জড়িত। সে কারণে বিষয়টি দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।
দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জুয়েল আহমদ বলেন—“এই ব্রিজটি আমার ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। যেটুকু বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তা দিয়ে এই বিশাল ক্ষতি মেরামত সম্ভব নয়। এখানে দুটি বড় সংযোগ সড়ক পুরোপুরি ভেঙে গেছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আলাদা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি দ্রুত বরাদ্দ মিলবে।”
তিনি আরও বলেন—
“মানুষ প্রতিদিন কষ্টে আছে। নৌকা বা বিকল্প পথে যেতে হচ্ছে। জরুরি সময়ে রোগী পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত কাজ শুরু করা অত্যন্ত জরুরি।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন