তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহালের ইজারা সীমানা বহিঃর্ভূত নদীর পাড় কেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন/ছাড়পত্র ব্যতিত বালু লুট করে নদীর আকার পরিবর্তন, ভূমিরূপ ও পরিবেশ এবং প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় ৩৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার রাতে (১৫ অক্টোবর) তাহিরপুর থানায় মামলা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক বলেন, গত ৬-৯ অক্টোবর যাদুকাটায় বর্ণিত আসামীরা পাড় কেটে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় মামলা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের ১০ তারিখ থেকে নিয়মিত টাস্কফোর্স অভিযানে আসামিরা পালিয়ে গেছে। বর্তমানে পাড় কেটে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তদন্ত শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।
মামলার প্রধান আসামিগণ হলেন লাউড়েরগড়ের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে খাজা (৬৫), পুরার লাউড়ের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে মো. আক্কাছ (৫৩), লাউড়েরগড়ের কিবরিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম মাস্টার সহ ৩৭ (সাঁইত্রিশ) জন। মামলায় আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা ৪(২), ৬(৩), ১২ এবং একই আইনের ১৫(১) ধারার আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১০ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ এর সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম, ইয়াসীর আরাফাত এর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরান লাউড়েরগড় মৌজার যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহালের নির্ধারিত সীমানার বাইরে লাউড়েরগড়, শাহ আরেফিন সেতু, শ্রী অদ্বৈত মন্দির ও রাজাই মৌজার শিমুল বাগান সংলগ্ন ইজারাবহির্ভূত নদীর পাড় থেকে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতিত বেআইনীভাবে বালি উত্তোলনের এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ৬-৯ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করা হয়। এটা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা ৪(২), ৬(৩), ১২ এবং একই আইনের ১৫(১) ধারার টেবিল ক্রমিক নং-১,৮ ও ১২ অনুসারে বিচার্য।
পরিবেশ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মোহাইমিনুল হক বললেন, অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এই মামলা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন