আব্দুস সামাদ আফিন্দী, বিশেষ প্রতিনিধি ::
ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে “আগামীর বাংলাদেশ ও লেখকদের ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লেখক ও সাংবাদিক মহসিন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে তরুণ প্রজন্মকে সৃজনশীল সাহিত্যচর্চায় যুক্ত করতে হবে। সাহিত্য শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি মানুষের চিন্তাভাবনা ও চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মুখ্য আলোচক জেলা দায়রা ও জজ আদালত সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর,সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ এক্সপ্রেসের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. জিয়াউর রহিম শাহীন বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ। লেখকদের দায়িত্ব সত্য প্রকাশ করা এবং পাঠকের মনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে উদ্বুদ্ধ করা।
ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের সভাপতি আবু সালেহ আহমদ বলেন, “সাহিত্যিকদের কলম হতে হবে সমাজের আয়না। তাদের লেখায় থাকবে মানুষের দুঃখ-সুখ, সংগ্রাম ও স্বপ্নের প্রতিফলন।
ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাহমান তৈয়বের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট মোঃ দিলওয়ার হোসেন বাবর, দৈনিক হক বার্তার সম্পাদক,সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আমিরুল হক, শিক্ষক ও গ্রন্থ প্রণেতা মোছায়েল আহমদ,ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক,মাসিক সুরমার মোহনার সম্পাদক সরল কবি ফজলুল হক দোলন , ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মাসুদ করিম, বাংলা প্রভাষক শাহিনা চৌধুরী রুবি, কবি ও সংগঠক রেজাউল করিম কাপ্তান,বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আশ্রাফুল আলম মো. নুরুল হুদা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,কবি সৈয়দ আহমদ আশেকী,গীতিকার মাজহারুল ইসলাম,কবি এনিমা জাহান,কবি একরামুল হক সেলিম,বড় দল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) শান্ত রায়,বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুর হোসেন,কবি আলী হায়দার এবং কবি মাসুদ হাসান।
বক্তারা বলেন,সাহিত্য মানুষের মনকে জাগ্রত করে, সমাজকে আলোকিত করে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানবিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়। তাই লেখকদের উচিত সমাজের প্রতিটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক সাহিত্যে তুলে ধরা, যাতে পাঠক অনুপ্রাণিত হয় সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল হতে।
দেশকে নিয়ে কবি ও লেখকদের ভাবনা সম্পূর্ণ আলাদা।দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে লেখকেরা সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করেন।দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সব অপশক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরতে হবে।সবার আগে নিজদের মনের দুর্নীতি পরিষ্কার করতে হবে।তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দর ও পরিপাটি বাংলাদেশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,সাংবাদিক আব্দুস সামাদ আফিন্দী,কবি মিনহাজুর রহমান,হাসান আহমদ,মারুফ হাসান নিরব,সাংবাদিক ফরিদ মিয়া,বুশরা জাহান মীম, মুস্তাকিম খান রুহান প্রমূখ।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন