৫ কোটি টাকার ভূমি ৪ মাসেও উদ্ধার হয়নি ;

প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৫

৫ কোটি টাকার ভূমি ৪ মাসেও উদ্ধার হয়নি ;

স্টাফ রিপোর্টার :  সুনামগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৩১ শতক সরকারী ভূমির সন্ধান পেয়েও উদ্ধার করা হচ্ছে না। দীর্ঘ ৪ চার মাসেও শেষ হয়নি উদ্ধার প্রক্রিয়া। এই ভূমির বর্তমান মূল‍্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় বিলুপ্ত বেঙ্গল ওয়াটারের অফিস নামের ভূমিতে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত চলে আসছে রমরমা ব‍্যবসা বাণিজ্য। বেঙ্গল ওয়াটার অফিসের অবৈধ বসতিরা এই ব‍্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি মাসে অন্তত লক্ষ টাকা আয় করছে অবৈধ বসতিরা। এতে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল সোমবার লঞ্চঘাট-পূর্বইব্রাহীমপুর খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে শহরতলীর পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের ৩ শতাধিক বাসিন্দার স্বাক্ষরিত আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের আশ্বাস দেন গ্রামবাসীকে।

বর্তমানে সরকারী ১নং খতিয়ানের অন্তভূর্ক্ত ১৬০১ দাগের ৩১ শতক জায়গায় বিলুপ্ত বেঙ্গল ওয়াটারের অফিস, বন বিভাগের রাস্তা, নদীর তীরসহ অন‍্যান‍্য জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান কোটা ভাড়া দিয়ে মাসে লক্ষ টাকা আয় করে আসছেন বেঙ্গল ওয়াটার অফিস দখল করে থাকা অবৈধ বসতিরা।

অপর দিকে, সদর উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষার্থীসহ বয়স্ক মহিলা পুরুষ, রোগী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিদিন খেয়া নৌকায় পারাপার হয়ে শহরে আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু সুনামগঞ্জ শহরের এই লঞ্চঘাট এলাকায় শহর ও পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামে যোগাযোগ খেয়াঘাট সংলগ্ন পূর্বদিকে প্রায় ১৭ বছর আগে থেকে সুরমা নদীরপাড় দখল করে অবৈধ মার্কেট গড়ে উঠেছে। এতে নারী, মেয়ে শিক্ষার্থীরা খেয়া পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়ানোর জায়গা পাচ্ছেন না।

এমনকি নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা (হোটেল) থাকায় ইভটিজিং সহ হোটেলের ময়লা-আবর্জনা ফেলা, সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের গায়ে রান্না করা চুলার গরম তেল ছিটকে পড়া, ছাইয়ের গুড়া উড়িয়ে ফেলা, নোংরা পানি ফেলা প্রভৃতি সমস‍্যার কারণে প্রতিনিয়ত ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে আসছে। এছাড়াও হোটেলের রান্নার চুলা ও লাকড়ি যাতায়াত রোডের উপর স্তুপ করে রাখায় যাত্রী সাধারণের চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি বেড়েছে। হোটেলের নোংরা পানি সিঁড়ির পাশে ফেলায় চারিদিকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দীর্ঘ চার মিস ধরে এসব সমস‍্যা নিরসনে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।

এ ব‍্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, লঞ্চঘাটের ভূমি উদ্ধারে সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষ। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লঞ্চঘাটের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের জন‍্য পরিদর্শন করেছেন। আমি আবারো সদরের ইউএনকে বলে দেবো যাতে অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার করেন।

#

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ