সাহিত্যের আলোকবর্তিকা ‘সুরমা’র মোহনা’র ২১তম সংকলন মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত: ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ৯, ২০২৫

সাহিত্যের আলোকবর্তিকা ‘সুরমা’র মোহনা’র ২১তম সংকলন মোড়ক উন্মোচন

আব্দুস সামাদ আফিন্দী , বিশেষ প্রতিনিধি::

সাহিত্য মানুষকে নৈতিকতা শেখায়, মানবিকতার পথে পরিচালিত করে। সেই লক্ষ্যেই নিরন্তর এগিয়ে চলেছে সুনামগঞ্জের আলোচিত সাহিত্য সাময়িকী ‘সুরমা’র মোহনা’।

সাহিত্যকে ভালোবেসে গড়ে ওঠা এই সাময়িকীটির ২১তম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হলো সোমবার (৯ জুন) বিকেলে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইয়াকুব উল্লাহ পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিসেবীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠক ও সাহিত্যানুরাগী মো. সিরাজুল ইসলাম পলাশ। সভাপতিত্ব করেন সাময়িকীটির সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ফজলুল হক দোলন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুজ আলী। তিনি বলেন,
“সাহিত্য মানুষকে মানুষ করে, সমাজকে দেয় নৈতিক বোধ ও মানবিক চেতনার দিশা। ‘সুরমা’র মোহনা’ শুধু একটি ম্যাগাজিন নয়, এটি একটি চিন্তার আন্দোলন।”

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মশিউর রহমান। তাঁর ভাষায়,
তরুণ লেখকদের আত্মপ্রকাশের নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এই সাময়িকী। প্রতিটি সংখ্যাই একেকটি নতুন সাহিত্যযাত্রা।”

বিশেষ অতিথিরা ছিলেন:
সৈকত আলী, চেয়ারম্যান, গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদ,
কবি মো. সহিদ মিয়া, সভাপতি, জাগ্রতকণ্ঠ সমাজকল্যাণ সাংস্কৃতিক পরিষদ,কবি ও সাংবাদিক মো. মহসিন কবির,
প্রবাসী সাহিত্যানুরাগী শাহাজান মিয়া (লন্ডন)
মো. নুরুল হক, সভাপতি, জামালগঞ্জ সাহিত্য সংসদ,মিছবাহ উদ্দীন রুমি, সাধারণ সম্পাদক, জাগ্রতকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদ,
মিছবাহ উদ্দীন রুমি বলেন,সুরমা’র মোহনা এখন আঞ্চলিক সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় সাহিত্যজগতে স্থান করে নিচ্ছে। এটি একটি চলমান সাহিত্য আন্দোলনের নাম।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন: কবি এস.ডি. সব্রত, গীতিকার আব্দুর রশীদ, চয়ন কুমার তালুকদার, মো. মোশাহীদ মিলটন, সাবেক সেনা সদস্য মো. নুরুল আমিন চৌধুরী, মজর আলী, নুরুন্নবী, তোফাজ্জল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সমাজসেবীরা।
অনুষ্ঠানজুড়ে আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং সাহিত্যমূলক আলোচনা পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত সাহিত্যপরবে।

সমাপনী বক্তব্যে সম্পাদক ফজলুল হক দোলন বলেন,
আমরা বিশ্বাস করি, সাহিত্যই পারে মানবিকতার আলো ছড়াতে। ‘সুরমা’র মোহনা’ তার এই পথচলা আগামীতেও অব্যাহত রাখবে। তরুণ লেখকদের পাশে আমরা সবসময় আছি।”

স্থানীয় সাহিত্যানুরাগীরা মনে করছেন, এ ধরনের আয়োজন নবীন ও প্রবীণ লেখকদের মাঝে তৈরি করে এক উজ্জ্বল সাহচর্য—যেখানে সাহিত্যের স্রোতধারা নতুনতর সম্ভাবনায় প্রবাহিত হয়।
সত্যিই, সুরমার ঢেউয়ে যেমন ছন্দ খেলে যায়, তেমনি ‘সুরমা’র মোহনা’র পাতায় পাতায় খেলে যায় সৃজনের দীপ্তি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ