ধর্মপাশায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৫২ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২৫

ধর্মপাশায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

সেলিম আহম্মেদ, ধর্মপাশা
পূর্বশত্রুতার জের ধরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময়
জহুরা আক্তার চৌধুরী (৫৫) ও জব্বারুল চৌধুরী (২৪) গুরুতর আহত হয়।

গেল বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মাইজবাড়ী গ্রামে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিনেই সবুর খানকে (৩৫) প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন জব্বারুলের ছোট ভাই জাকিরুল ইসলাম চৌধুরী।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জব্বারুল চৌধুরী ও সবুর খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে জব্বারুলের স্বত্ব দখলিয় জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে সবুর খান, এতে বাধা নিষেধ করিলে সবুর খানসহ তাদের ভাইদের সাথে কথা কাটাকাটা হয় জব্বারুলের। এর কয়দিন পর আবারো বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে জমি দখলেন চেষ্টা চালায় সবুর খানসহ তার লোকজন, এতে জব্বারুল প্রতিবাদ করায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ২টি ল্যাপটপ, ১টি মোবাইল ও জমির দলিল পত্রসহ জলমহালের কাগজপত্র নিয়ে যায় তার। এসময় জব্বারুল ও তার মা জহুরা আক্তার আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জব্বারুলকে ভর্তি রেখে তার মা জহুরাকে প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে শনিবার সকালে জব্বারুলের স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

ঘটনাটি মূলত একটি মেয়ের অশ্লীল ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে  হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান, বিএনপি নেতা ও স্থানীয় ব্যক্তিত্ব হামিদুল ইসলাম
চৌধুরী মিলন।

অভিযুক্ত সবুর খানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম চৌধুরী জানান, এঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ