বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কম্পিউটার ল্যাব থেকে গতকয়েক মাস আগে ল্যাপটপ গায়েব হয়। কিন্তু অলৌকিক কারনে থানায় কোন অভিযোগ নেই। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার রুমটিতে কম্পিউটার শিক্ষক ও অনুসারী শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ প্রবেশ করেনা। এই কক্ষের বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি কম্পিউটার শিক্ষককের রঙ্গ মঞ্চের মত। কম্পিউটার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কক্ষের মধ্যে দরজা জানালা লাগিয়ে পর্দা দিয়ে সার্বক্ষনিক আড্ডায় মেতে উঠেন। এ বিষয়ে কয়েক বার সতর্ক করা হলেও উনি তা কোন তোয়াক্কা করে না। গত বছর উনাকে নারী সংক্রান্ত মামলায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো: জাকির হোসেন চৌধুরীকে এ-বিষয়টি জানতে বারবার কল দেওয়া হয়েছে, উনি কল রিসিভ করেন নি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম যোবায়ের বলেন, আমি কম্পিউটার শিক্ষককে কম্পিউটার গণনার কথা বল্লে উনি কম্পিউটার গণনা করে দেখেন যে একটা কম্পিউটার উধাও। এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মাজহারুল ইসলাম স্যারকে অবগত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান তারপর বলেন এবিষয়ে জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে বের করা হবে কে এরকম কাজটি করতে পারে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন বলেন, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে বিষয়টি দেখবো।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা শিক্ষক ছাড়া কে নিয়েছে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে থানায় জিডি করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে শিক্ষক দায়িত্বে আছে সে এটার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন