তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : বাসযোগ্য নিরাপদ পরিবেশ চাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে যাদুকাটা নদী সংরক্ষণ সুরক্ষা সচেতনামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার( ২২) জানুয়ারী বিকাল ২ ঘটিকায় তাহিরপুর উপজেলার কন্সফারেন্স রুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন ও ই এন্ড ডি সিলেটের সার্বিক সহযোগিতায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি একে এম আবু নাসেরের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের সঞ্চালনায়, বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাসেম, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামারুজ্জামান কামরুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আবুল কালাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর রুকন উদ্দিন, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুনাব আলী, তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জেলা বি এনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, সাংবাদিক বাবরুল হাসান বাবলু, রোকন উদ্দিন, আহমেদ কবির, সহ উপজেলার সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে পরিকল্পিত নদী সংরক্ষণের জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, যাদুকাটা নদী এখন নদী নয়, নদী এখন মহা সাগরে পরিনত হচ্ছে।
অপরিকল্পিতভাবে নদীর পাড় কেটে বালু খেকোরা নদীর অস্তিত্ব বিলীনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেনীর মধ্যসত্বভোগীরা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য যত্রতত্র নদীর পাড় কেটে গ্রাম গুলোকে বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন, যাদুকাটা নদী কে রক্ষা করতে হলে আগে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে হবে। আশে পাশের গ্রামের মানুষ তার জায়গা বিক্রি করে মুনাফা লাভ করে আর মধ্যসত্বভোগীরা তার সুফল ভোগ করে। নদীকে রক্ষা করতে হলে আগে গ্রামের মানুষকে জায়গা বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির রোকন উদ্দিন বলেন, বালু খেকুরা যাদুকাটা নদীকে গ্রাস করে এখন এসে মাহরাম নদীতে আক্রমণ করছে।মাহরাম নদীতে বড় বড় গর্ত করে বালু লুটে নিয়ে যাচ্ছে বালু খেকুরা। মাহরাম নদী থেকে যদি এভাবে বালু উত্তলন করতে থাকে তাহলে ভাঠি অঞ্চলের মানুষ আর কৃষি কাজ করতে পারবেনা। তাই ভাঠি অঞ্চলকে রক্ষা করতে হলে বালু খেকুদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, যাদুকাটা নদী থেকে যারা উৎকুচ সংগ্রহ করে নদীর পাড় কাটতে সহযোগিতা করেন তারা সাবধান হয়ে যান, নতুবা জনগন আপনাদের বিচার করবে।মাহরাম নদীর বাঁধ কেটে যদি কেউ বালু উত্তলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাহাড়ি ঢলে প্রথমেই মাহরাম নদীতে এসে আক্রমণ করে। বালু খেকুদের জন্য যদি মাহরাম নদীর বাঁধ ভেঙে কৃষকের কোন ক্ষতি হয় তাহলে জনগনকে সাথে নিয়ে জনতার আদালতে তাদের বিচার হবে।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবুল হাসেম বলেন, আমরা যাদুকাটা নদীতে মাঝে মধ্যে অভিযান চালাই।যাদুকাটা নদী সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় সকল মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন