নিজস্ব প্রতিবেদক :: একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। সেই সাথে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন তিনি।
এক শুভেচ্ছা বার্তায় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, পৃথিবীতে বোধ করি বাঙালিই একমাত্র জাতি যাঁরা মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে জীবন দিয়েছেন। আমরা গর্ববোধ করি এই ভেবে যে, অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
তাই একুশে ফেব্রুয়ারী এখন আর এককভাবে আমাদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎসও।
‘রক্তে আমার আবার প্রলয় দোলা/ফাল্গ–ন আজ চিত্ত আত্মভোলা/আমি কি ভুলিতে পারি/একুশে ফেব্রুয়ারি’। চেতনার পথে দ্বিধাহীন অভিযাত্রী বেশে বাঙালিকে সর্বদা চলার প্রেরণা জোগায় একুশ। আজ সেই অমর একুশে। শোক বিহ্বলতা, বেদনা আর আত্মত্যাগের অহংকারে উদ্বেলিত হওয়ার দিন আজ।
তিনি আরও বলেন, সাহস, প্রত্যয় আর উদ্দীপনায় সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একই সঙ্গে আজ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। আজকের দিনটি প্রত্যেক বাঙালির পাশাপাশি পৃথিবীর তাবৎ মাতৃভাষাপ্রেমীর রক্ত টগবগে চেতনায় শানিত হওয়ার দিন। আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য এবং ১০টি সহযোগী সদস্য রাষ্ট্র পালন করবে আমাদের একুশকে। পৃথিবীর ৬ হাজার ৯০৯টি ভাষার মানুষ পালন করবে দিবসটি।
একুশের পথ ধরেই আমরা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, লাল-সবুজের পতাকা আর আত্মপরিচয়ের অধিকার অর্জন করেছি। তাই গৌরবোজ্জ্বল, প্রেরণায় মহিমান্বিত আর চেতনা শানিত করারও শক্তি হল একুশে ফেব্রুয়ারি। ফি বছর যখন বসন্ত আসে, কৃষ্ণচূড়ার শাখায় বসে দরাজ কণ্ঠ ছেড়ে কৃষ্ণ-কোকিল গান ধরে, পলাশ-শিমুল রক্তরাগে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে ঝিরি ঝিরি দখিনা সমীরণের প্রবাহ ঘটায়, ছুড়ে ফেলে দেয় নির্জীবতাকে, তখনই চেতনায় নাড়া দিয়ে ওঠে যে, এসেছে ফেব্রুয়ারি। তাই তো বসন্তের সম্মিলনে আমাদের চেতনায় আল্পনা এঁকে দেয় অমর একুশে।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন