জনকল্যাণ সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরনে চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল

প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৩

জনকল্যাণ সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরনে চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল

সোহেল মিয়াঃ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাধীন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সীমান্তীক জনকল্যাণ সোসাইটি।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ইছামতী বাজারে শীতবস্ত্র বিতরনের এই কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি।

এতে,জামেয়া কুরআনিয়া নোয়াকুট মাদ্রাসা,
হাবিবনগর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও
দারুগাখালি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ১২৭ টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র ( কম্বল) তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সিলেট জেলা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম,ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন,ইউপি সদস্য সফিক আলী, সংগঠনের উপদেষ্টা রহিম আলী, সাহাব উদ্দিন,রমজান আলী,আঃ কাদির,সৌদি প্রবাসী ইন্তাজ আলী,বাবুল মিয়া,সিকান্দার আলী।

আরও উপস্থিত ছিলেন,সীমান্তিক জনকল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ইলিয়াস আলী, সেক্রেটারি রুস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ মাষ্টার বেলাল আহমদ,শিক্ষা ও ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন,ওয়ালিদ আহমদ প্রমুখ।

এসময় চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল বলেন, সীমান্তিক জনকল্যাণ সোসাইটি একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন,এই সংগঠন সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত করোনা ও বন্যাকালীন এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। বসতঘর হাঁরানো
পরিবারদের পূনবার্সনের ব্যবস্থায় অব্যাহত রেখেছে। কন কনে এই শীতের মাঝে যেখানে বিত্তবানরা আরামে ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে সেই সময়ে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে এটা খুবি প্রশংসনীয়৷ আমি তাদের সার্বাঙ্গিক সফলতা কামনা করি।

এসময় তিনি আরও বলেন, শীতের তীব্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের কষ্ট। হাড়কাঁপুনি শীতে গরিব মানুষের কষ্ট অবর্ণনীয়। শৈত্যপ্রবাহের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন-জীবিকা। শীত মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতি থাকে খুবই যৎসামান্য। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় দুস্থ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় চরমে। তীব্র শীতের কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি থাকে। অনেক স্থানে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায় না। উত্তর-পূর্ব জনপদে শৈত্যপ্রবাহে গরম কাপড়ের অভাবে শীতের কষ্টে ভুগে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষজন। এ সময় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানদের নৈতিক দায়িত্ব। দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ, যাদের শীতবস্ত্র নেই, শীত নিবারণের জন্য সামান্য একটি কম্বল নেই, এখন যত দ্রুত সম্ভব এসব মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবান মানুষদের ও এ সময় এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায়ই শীতের কষ্ট থেকে দরিদ্র মানুষদের রক্ষা করা সম্ভব। আসুন আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করি।

এসময় উপস্থিত জনসাধারণ সীমান্তিক জনকল্যাণ সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরনের এই কর্মসূচীকে সাধুবাদ জানিয়ে সংগঠনের সার্বঙ্গনিক সফলতা কামনা করেন।