ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নিয়ে শঙ্কায় এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নিয়ে শঙ্কায় এলাকাবাসী

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওর এলাকার বড়দল নতুন হাটি ও পুরাতন হাটির মাঝামাঝি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

বাঁধটি এ বছরে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের ফলে বসত ঘরবাড়ি সহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাটিয়ান হাওর উন্নয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক বড়দল গ্রামের প্রকৃত কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এই বাঁধটাই আমাদের ফসল, ঘরবাড়ি আর স্কুল রক্ষা করে।
তাহিরপুর উপজেলর বড়দল গ্রামের, বড়দল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বেড়ি বাধঁ টি চলতি বছর অকাল বন্যায় পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে নিয়ে যায় এবং গভীরভাবে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।, খালের উওর পাশে অনুমানিক ১০ টি বসত বাড়ি পানিতে ভেসে যায় ও মারাত্বক ক্ষতি হয়, খালের দক্ষিণ পাশে একটি সরকারী বিদ্যালয় ভবনের নিচে মাটি সরে গিয়ে ভবন টি হুমকির মধ্যে রয়েছে, যেকোন সময় ধ্বসে পরতে পারে,পাশের কবরস্খানটিও ক্ষতি হয়েছে। পিছনের গর্ত টিকে না সমাধান করলে হাওরের ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবেনা, এই বাধঁ টিতে অভিজ্ঞতা সম্পর্ন ব্যাক্তিকে হাওর বাসীর মতামতের ভিত্তিতে দক্ষ পি আই সি নিয়োগ দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাক্কলন শেষ করে যথা সময়ে বেড়ি বাধেঁর কাজ শুরু করতে হবে।

কিন্তু এবছর যেভাবে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে, সময়মতো কাজ না হলে কৃষকেরা ফসলিজমি ঘরে তুলাই মুশকিল হয়ে পড়বে।

আরেক কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন,
“প্রতি বছরই বাঁধের কাজ দেরিতে হয়। যেদিন হাওরে পানি আসে, সেদিনও অনেক জায়গায় কাজ চলতে থাকে। এবার যদি এমন হয়, তাহলে স্কুল আর ঘরবাড়ি পানির নিচে যাবে।”

উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বড়দল অংশের বাঁধটি “ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাউবো কর্মকর্তারা বলেছেন, জরুরি সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তবে স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ,প্রতি বছর একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না সময়মতো। হাওরে আগাম পানি নামলেই ফসল, ঘরবাড়ি, এমনকি বিদ্যালয়ও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা তুজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, টেকসই বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় মাটি, পানির প্রবাহ, এবং ঢালের গঠন বিবেচনায় প্রকৌশলসম্মত নকশা জরুরি। সময়মতো কাজ না হলে বড়দল গ্রামের কৃষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে আবারও বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

সানজাব উস্তার, নিজেস্ব প্রতিবেদক, ভাটির কণ্ঠ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ