জাতির মেরুদণ্ড হিসাবে শিক্ষা ; আশ্রাফুল আলম মোঃ নূরুল হুদা

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৫

জাতির মেরুদণ্ড হিসাবে শিক্ষা ; আশ্রাফুল আলম মোঃ নূরুল হুদা

পানির অপর নাম জীবন। শুধু পানির অপর নাম জীবন বললে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। বলতে হবে বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন।

আচরণের ক্ষেত্রে, আচরণই কী ব্যক্তির উন্নতির সঠিক মাপকাঠি? ব্যক্তির আচরণে ভালো ও মন্দ উভয় দিক মিশ্রণ থাকা অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়।
তবে আচরণিক ব্যাকরণে তথা সুশীল ও ভদ্র সমাজে আচরণের স্বীকৃত ব্যাখ্যা ইতিবাচক কাংখিত পরিবর্তন।
ব্যাখ্যামতে যে বা যারা চরিত্র দিয়ে সমাজে নেট তৈরী করবে সে হবে সর্বমহলে সেলিব্রিটি।
সত্য, স্বীকৃতি, লিখা ও আওয়াজ তুলার শব্দ চয়নে আমাদের সাবধানতার কোন বিকল্প নেই। আমরা ছোট থেকেই বই পুস্তকে পড়েছি এমনকি মুখস্থও করেছি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আসলে কী কথাটা সঠিক?
মোটেও না।
সিলেবাস ভিত্তিক শিক্ষা নিয়ে হয়তোবা কিছু সংখ্যক মানুষ পরিবার ও সমাজে সঠিক ভাবে আলোকিত হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগই ভররাতের অন্ধকারে মিশে একাকার হয়েছে।
মেধা ও শ্রম দিয়ে নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করে উন্নত সনদ সংগ্রহ করা যত না সম্মানের তার চেয়ে সনদের সাথে নীতি নৈতিকতার সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে যদি নিজেকে বলিয়ান করা যায় তাহলে সেই সমাজের প্রকৃত অলংকার।
তাই যদি হতো তাহলে আজ প্রশ্ন ওঠে পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শান্তির পরিবর্তে অশান্তির তীব্র তাপদাহ কারা তৈরী করেছে? অফিস,আদালত সহ মর্যাদাশীল নানা পেশায় কারা চূড়ান্ত সম্মানিতে কর্ম সম্পাদন করে? একেবারে প্রান্তিক লেভেল থেকে সর্বাধিক তদন্তে দিবালোকের মতো পরিষ্কার সত্য তথ্য বের হয়ে আসবে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী।
কিন্তু একথাও পরিষ্কার যে
জনপদের সকল জনগোষ্ঠী চ্যালেন্জিং এ প্রশ্নের জবাব জানতে চায়?
শিক্ষিত একটি মহল যারা জাতির আকাংখার বাতিঘর। দায়িত্বের চেয়ারে বসা।তারা তাদের দায়িত্ব পালনে বই পুস্তকের মূল্যবান নীতি বাক্য, উপদেশ, সঠিক দায়িত্ববোধ,ও ন্যায়নিষ্ঠার প্রমাণ কী রেখেছেন?
যে কোন অফিসে আজ কিসের মহোৎসব? উল্লাস ও দুর্বৃত্তায়ন! এক কথা এক বাক্য দূর্ণীতি আর অরাজকতা। শুধু চর্মচক্ষুই নয় মনোজগতেও স্পষ্ট জবাব দায়িত্বের চেয়ারে বসা বড়ডিগ্রিওয়ালা প্রচুর সনদধারী শিক্ষিত একটি অংশ।
প্রান্তিক লেভেল থেকে সকল মহলে চলছে নেগেটিভ অভিনন্দনের অস্বাস্থ্যকর হাওয়া।
যারা ছিল সকল সমাজে শান্তি ও আদর্শের আইকন। যারা পেট্রোনাইজ করে পিছিয়ে যাওয়া মানুষদের সাহস ও রিফর্ম করবে তারাই এ নোংরা কাজের পরম আত্বীয়।
গ্রামীণ ছোট খাটো অফিস থেকে উঁচু পর্যায়ের বড়,বড় অফিসে চলছে ধুমধাম হয়রানি। মানুষ আজ সকল প্লাটফর্মে হয়রানীই নয় চরমভাবে লাঞ্ছিতোও হচ্ছে। তার কারণ কী?
এখন কী আর বলা যায় শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড?
না! কারণ,শিক্ষাকে শিক্ষা বললে যৌক্তিক হবে বলে মনে করিনা, সুশিক্ষা ও নীতি নৈতিকতার প্রশিক্ষণ
শিক্ষা হিসাবে গণ্য করাই যৌক্তিক বক্তব্য।
তাহলে একথা জোর গলায় স্পষ্ট করে জনসমক্ষে সবাইকে ঘোষণা করতে হবে জাতির মেরুদণ্ড হিসাবে শিক্ষা কোনটি?
সেটা সিলেবাসের সাথে নৈতিক গুণসম্পন্ন শিক্ষা নিয়ে সনদ সংগ্রহকেই জাতির মেরুদণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়।

লেখক : আশ্রাফুল আলম মোঃ নূরুল হুদা
সিনিয়র শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা)
বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়,তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ