৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে জনসমাবেশ “যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাব” — ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে জনসমাবেশ “যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাব” — ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন

আব্দুস সামাদ আফিন্দী ::
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে এক বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জামালগঞ্জের ঐতিহাসিক সাচনা বাজারে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে এ জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভায় ভীমখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ, সদস্য এমদাদুল হক আফিন্দী, আলী আক্কাস মুরাদ, গোলাম রাব্বানী আফিন্দী, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাচনা বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মিসবাহ উদ্দিন রুমী, মন্জুরুল হক আফিন্দী, সাবেক সহ-সভাপতি কাজী শহিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নূর আখঞ্জী, সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাকলায়েন দ্বিপক, বিএনপি নেতা জালাল উদ্দীন ফারুকী, উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রুহেল মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান ও ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান অপু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন বলেন,“তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কেবল একটি রাজনৈতিক নীতিপত্র নয়, এটি একটি জাতির মুক্তির ঘোষণা। এই ৩১ দফার প্রতিটি বিষয় বাংলাদেশের মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সুশাসনের প্রতিফলন।”
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, বিচারহীনতার শিকার এবং প্রশাসনিক নিপীড়নে জর্জরিত। তারেক রহমানের এই রূপরেখা সেই অবিচার ও অনিয়মের শৃঙ্খল ভাঙার অঙ্গীকার বহন করে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে আইন থাকবে জনগণের সেবায়, প্রশাসন থাকবে জবাবদিহিতার আওতায়, আর রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার আদায়ের হাতিয়ার।”
ব্যারিস্টার লিটন আরও বলেন,
“বিএনপি জনগণের দল, আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আজকের এই জনসমাবেশে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—একটি ন্যায়ভিত্তিক ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে।” তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ৩১ দফার প্রতিটি ধারা বাস্তবায়ন করলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে উঠবে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে আসবে গুণগত পরিবর্তন। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে—এটাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার। আমি হাওড়পাড়ের সন্তান, আজীবন আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। যতদিন বেঁচে থাকব, হাওড়াঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করি।এ সময় জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশকে ঘিরে পুরো সাচনা বাজারে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বাজারের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে প্রধান সড়কজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা।
দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল চাঙা মনোবল, উচ্ছ্বাস ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ