জামালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয় সভা 

প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৫

জামালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয় সভা 

আব্দুস সামাদ আফিন্দী,জামালগঞ্জ ::

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি ২০২৫ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সভার আয়োজন করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাব্বির সারোয়ার, সমাজসেবক আব্দুর রব, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কায়সার আহমদ, মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পীযুষ কান্তি মজুমদার, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল মুকিত, প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অতুল চন্দ্র তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, জামালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ এবং দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সামাদ আফিন্দী,ক্বওমী মাদরাসা প্রতিনিধি আলী আকবর প্রমুখ।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি, যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য জীবনঘাতী হতে পারে। তাই এই টিকাদান কর্মসূচি সময়মতো ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আরও বলেন, কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনার লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৯ম শ্রেণি/সমমান শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রী (প্লে নার্সারি কিন্ডারগার্টেন, বাংলা ও ইংলিশ ভার্সন, ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, কারিগরি ও অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির শিশু (৯ মাস-১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু), ১ম ২সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন (যে কোন ১০ কর্মদিবস) এবং পরবর্তী ২ সপ্তাহ কমিউনিটিতে (গ্রামাঞ্চল এবং নগরাঞ্চলে নিয়মিত এবং স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন) (যে কোন ৮ কর্মদিবস) টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে গ্যাভি, PATH, ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ