প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
সেলিম আহম্মেদ : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় মনিন্দ্র চন্দ্র দাস ও দিগেন্দ্র চন্দ্র দাস নামে দু’টি পরিবারকে পৈত্রিক জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেলে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের লেঙ্গুর গ্রাম সংলগ্ন পাইকুরাটি মৌজায় ওই গ্রামের প্রয়াত মহিম চন্দ্র দাসের নামে রেকর্ডভূক্ত ৪৩ শতক জায়গা রয়েছে। যার এস এ খতিয়ান নং-১৭০ ও আর এস খতিয়ান নং-২৩৭, এস এ দাগ ১৬৪২ ও আর এস দাগ নং-২১৬৪, শ্রেণী- আমন। মহিম চন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর উক্ত রেকর্ডভূক্ত ৪৩ শতক জায়গা তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে রেখে যাওয়া মনিন্দ্র চন্দ্র দাস ও দিগেন্দ্র চন্দ্র দাস নামে দুই নাতী পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। এ অবস্থায় মনিদ্র চন্দ্র দাসদের অজান্তেই তাদের উক্ত দখলীকৃত জায়গাটি বিগত রিভিশনাল জরিপে ১/১ খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। পরে উক্ত জায়গাটি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় লিজ দেন ওই গ্রামের ফেরদৌস মিয়াসহ ৩ জনকে। এর পর থেকে জায়গাটি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য গেল বছরের ৩১ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দুই নারীসহ ৫ জনকে গুরুতর আহত করে। হামলার ঘটনায় ফেরদৌস মিয়া (৫০), শহীদুল হক ও কুদ্দুছ মিয়াসহ ৯জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেন আহত আরাধন দাস (৪২)। অভিযুক্তরা হলেন, ওই গ্রামের লেঙ্গুর গ্রামের বাসিন্দা। জায়গাটি রিভিশনাল জরিপে তাদের নামে রেকর্ডভূক্ত না হওয়ায় গত ২০২২ ইং সালে মনিন্দ্র চন্দ্র দাস বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্ব ঘোষণার মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উক্ত স্বত্ব ঘোষণা মামলায় বিজ্ঞ আদালত গত ২০২৩ সালের ১২ জুলাই মনিন্দ্র চন্দ্র দাসদের পক্ষে একতরফা ডিক্রি প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন। এর পরেও প্রভাশালী ব্যক্তিরা সংখ্যালঘু ওই দু’টি ভুক্তভোগী পরিবারকে তাদের পৈত্রিক জায়গা থেকে নানা কৌশলে উচ্ছেদের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভূক্তভোগী মনিন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকেই ওই জায়গাটি আমরা ভোগদখল করে আসছি। আমাদের দখলে থাকা ও আদালত আমাদের পক্ষে একতরফা ডিক্রি প্রদান করে রায় দেওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান কি করে আমাদের দখলে থাকা পৈত্রিক জায়গাটি ফেরদৌসদেরকে একসনা লিজ দেন তা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। তিনি আরো বলেন, এসিল্যান্ড স্যার আমাদেরকে উক্ত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। অন্যথায় ৪ লাখ টাকা দিতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি উক্ত জায়গাটির উপর আমাদের পক্ষে আদালতের একতরফা ডিগ্রি পাওয়ার বিষয়টিকে কলাপাতা বলে তিনি আখ্যায়িত করেছেন। তিনি (সহকারী কমিশনার ভূমি) মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিদেরকে সরাসরি সহযোগিতা করছেন। এখন আমারা কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী নূর (৬০) ও লাল মিয়া (৫৯) বলেন, উক্ত জায়গাটি মনিন্দ্র দাসদের বাপ চাচাদের, পরে শুনেছি জায়গাটি উপজেলা প্রশাসন ফেরদৌস গংদের লিজ দিয়েছে।
উক্ত জায়গাটি সরকারিভাবে লিজে আনার কথা উল্লেখ করে প্রতিপক্ষের শহীদুল হক বলেন, আমরা জোরপূর্বকভাবে কারো কোনো জায়গা দখল করিনি বা করবোও না। কিন্তু ওই জায়গাটি আমরা সরকারিভাবে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে লিজে এনে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। এবারো আমরা ওই জায়গার হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধ করেছি। মূলত আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অলিদুজ্জামান বলেন, এটা বিপি সম্পত্তি, বিগত ৫০ বছর যাবৎ সরকার লিজ দিয়ে আসছে, তাঁরা যে একতরফা ডিক্রি নিয়ে আসছে, তা ভুল জায়গা থেকে নিয়ে এসেছে। এই আদালত এসমস্ত বিষয়ে রায় দেওয়ার একতিয়ার রাখে না। ৪ লাখ টাকা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এ সমস্ত কোন কথা হয়নি, আমি নিষেধ করেছি সরকারি সম্পত্তিতে না যাওয়ার জন্য, এছাড়া এখানে আরো লোকজন ছিল।
উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি : লন্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট সমাজকর্মী কবি ইমদাদুন খান
সম্পাদক : জাকিয়া সুলতানা মনি
প্রধান বার্তা সম্পাদক : আবুল হোসেন
যোগাযোগ: চিফ নিউজ এডিটর: আবুল হোসেন, সুরমা মার্কেট সিলেট, +8801725167503
জয়েন্ট নিউজ এডিটর: আব্দুস সামাদ আফেন্দি নাহিদ, সুনামগঞ্জ +8801312125827
হেড অব নিউজ: মোসফিকুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ 01756464823
ডেক্স ইনচার্জ: রোকন উদ্দিন,তাহিরপুর +8801785752013
ইমেলঃ vatirkantho@gmail.com
Design and developed by Web Nest