ভাটির কন্ঠ ডেস্ক :  ইমদাদুন খান ১৯৫৬ সালে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এক সম্ভ্রান্ত পরিবার তালুকদার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। মরহুম পিতা আলহাজ্ব মো: আব্দুস ছাত্তার তালুকদার এবং মরহুমা মাতা আজিজুননেসার পাঁচ কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ছোট বেলা থেকে মেধাবী ইমদাদুন খান স্কুল কলেজে বিভিন্ন মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার সাথে জড়িত ছিলেন। বই পড়া ছিল তাঁর নেশার মতো। ১৯৭৫ সালে স্বামী মরহুম আলহাজ্ব মো: আব্দুল লতিফ খানের সাথে বিলাতে পরবাসী হন। এখানে এসেও স্রোতের বিপরীতে পুরুষতান্ত্রিক কমিউনিটিতে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হন। সাথে স্বামী স্ত্রী দুজন ক্যাটারিং ব্যাবসায়ে বিরাট সফলতা লাভ করেন। তিন ছেলে দুই মেয়ের আদর্শ মা হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটিতে একজন প্রচার বিমুখ রত্নগর্ভা মা। সবাই বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ক্যাম্বব্রীজ সহ অন্যান্য নামী দামী প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সহ রিসার্চের দ্বায়িত্ব পালন করেছে। উনার দুই মেয়ে ডক্টরেট, বড় ছেলে ডিপ্লোমেট, দ্বিতীয় ছেলে ব্যারিষ্টার কেসি, তৃতীয় ছেলে ডারহাম ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক। একটা সময় সন্তানদের মানুষ করতে গিয়ে নিজেকে সব কিছু থেকে গুটিয়ে রাখেন। অবসর সময়ে শখের বসে অগোচরে লেখালেখি করতেন। তিনি সব কিছুকে কবিতার ছন্দে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। ইমদাদুন খান একজন সৌখিন কবি। “ছন্দের আলিঙ্গন” তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতার বই এবং দ্বিতীয় বই শব্দের ছোঁয়া।

কবি ইমদাদুন খান উক্ত পত্রিকার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন।