প্রকাশিত: ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
ছাতক প্রতিনিধি :
ছাতকের বটেরখাল নদীতে মৎস্য আইন বিরোধী অবৈধ জাল ব্যবহারের উচ্ছেদ চেয়ে ইউএনও বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে দোলারবাজার ইউনিয়নের রাউলী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল আমীন এ আবেদন করেন।
আবেদন সুত্রে জানাগেছে, সুরমা নদীর শাখা বটের খাল নদী একটি বদ্ধ জলমহাল এবং খন্ড-খন্ড লীজ গৃহীত। খেররখালী সিমানা থেকে ২৬ একর প্রান্তিক মৎসজীবী ও এলাকায় জনগনের জন্য উন্মুক্ত।
কিন্তু এখানের জল মহালে জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মছব্বির ঠাকুরের পুত্র নুরুল ইসলাম, সিংচাপইড় ইউনিয়নের খাসগাঁও গ্রামের মৃত মফিজ আলীর পুত্র আশ্রব আলী,মৃত করম আলীর পুত্র পারভেজ আহমদ,মৃত আব্দুল নুরের পুত্র সাদ্দাম, সাবাজ আলীর পুত্র আজির উদ্দিন,কালীপুর গ্রামের রহিম উল্লাহর পুত্র আছাব আলী,আবু বকরের পুত্র রাকিব আলী,আজির উদ্দিন সহ একটি সংঘবদ্ধ দল অবৈধ ভাবে তারা ধল-কাটা লাগাইয়া ২ বছর ধরে মৎস্য আইন অমান্য করে মৎস্য আহরণ ও শিকার করছে।এতে সরকারি লীজ গ্রহিতারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় খন্ড জলমহালে মৎস্য আইন অমান্য করে বিভিন্ন ধরনের জগৎশেঠ জাল,চেটা জাল সহ অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরছে তারা। তারা নদীর তলদেশ হইতে দুই পাড়ের সাইড ব্লক করে অবৈধ জাল দিয়ে দেশীয় প্রজাতীর ছোট বড় মাছ,পোনা মাছ সহ নিধন করছে। এই মহলটি অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে। এতে মৎস্য প্রজন্মের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে।
উল্লেখিত উন্মুক্ত নদীর ২ পারের স্থানীয় সাধারণ মৎস্য জীরিরা মৎস্য আহরণ থেকে বঞ্চিত। সাধারণ মানুষ ও মাছ শিকার করতে পারছেনা। অভিযুক্তরা সকলেই আওয়ামীলীগ হওয়ার কারণে সরকার দলের পরিচয়ে এবং দাপটে লীজ গ্রহীতাদের বিরাট ক্ষতি সাধন করে তারা লাভবান হয়েছে। বর্তমানেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অবৈধ জাল এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে সেনা ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest