প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
মোহাম্মদ তারেক মিয়া
শাল্লা, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:- গত বছর ২০২৩ সালে ১৯ জুন দুই সন্তান ও স্ত্রী সহ বানের জলে ভেসে গিয়ে নিহত হওয়া রথীন্দ্র দাসের বাড়িতে গিয়ে তার সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এ্যাড: শিশির মনির। জানা যায় তিনি ঢাকা থেকে আসার আগেই শাল্লায় দুই দিনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। রথীন্দ্র দাসের বাড়িতে যাওয়া ও তার খোঁজখবর নেওয়াও সেই কর্মসূচির অংশ ছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা সদর থেকে নৌকাযোগে রথীন্দ্র দাসের বাড়িতে যান তিনি। এসময় রথীন্দ্র দাসের হাতে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন শিশির মনির।
সেখানে শাসখাই বাজারে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য শিশির মনির বলেন, আমাদের সবাইকে মিলেমিশে সমাজের হতদরিদ্রদের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের সমাজকে সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মানুষের সাথে মিশতে হবে। মানুষের সাথে মিশতে পারলেই সুসম্পর্ক তৈরি হবে। এখানে ধর্ম-বর্ণের মধ্যে পার্থক্য খুঁজলে চলবে না। কেউ যদি ধর্ম মানে সে অন্যের সাথে কখনো প্রতারণা করতে পারে না। তাদের ভেতরে ভয় থাকার কথা। কেউ যদি আল্লাহকে ভয় না করে তাহলে তার আবার ধর্ম কিসের। কোনদিন কারো ক্ষতি করা যাবে না। আপনি একজনের উপকার করতে না পারেন তবে কারো ক্ষতি করা যাবে না। চুপ থাকাও একটা উপকার। একজন যদি কারো উপর চাপ সৃষ্টি করে, অত্যাচার করে,নির্যাতন করে এটা কোন ধর্মের বিধান হতে পারে না। ওই এলাকার পাঁচটি গ্রামের বিদ্যুতের ব্যাপারে তিনি বলেন আমি রহিম আফরোজ ও পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। তাদের সাথে কথা বলে যদি কোন সমাধান না হয় এই বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৯ জুন দুই সন্তান নিয়ে শাল্লা সদরে আসার পথে শাল্লা ব্রিজ সংলগ্নে তীব্র স্রোতের ডাক্কায় ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয় রথীন্দ্র দাসের স্ত্রী ও দুই শিশু বাচ্চা। তারা হলের উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের অন্তগত বিলপুর গ্রামের একই পরিবারের রথীন্দ্র দাসের স্ত্রী দূর্লভ রানী দাস (৩০) তার মেয়ে জবা রাণী দাস (৭) ও ছেলে বিজয় দাস (৫)। পরে এলাকাবাসী,পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের একান্ত সহযোগিতায় পৃথকভাবে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তৎকালীন সময়ে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ১৯ জুন রবিবার অনুমান সন্ধা ৭টায় বিলপুর গ্রামের রথীন্দ্র দাসের স্ত্রী দুর্লভ রানী দাস একটি ছেলে ও একটি মেয়ে বাচ্চা সহ ওই মহিলা শাল্লা ব্রিজে উঠার সময় পাকা রাস্তায় (বাহাড়া রোড) পার হওয়ার সময় একে একে তিনজনই স্রোতের ডাক্কায় ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনা শোনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হলে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই উদ্ধার কাজ চালান। জানা গেছে পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রথীন্দ্র দাসকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest