ছাতকে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

ছাতকে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

ছাতক প্রতিনিধি :  ছাতকে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী সহ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। ২০ বছার যাবত দায়িত্ব প্রাপ্ত এ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত সহ নানান অভিযোগ তোলা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার দোলার বাজার ইউনিয়নের মঈনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষিকা শিরিন আক্তার তিনি প্রায়ই কারনে-অকারনে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির কারনে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখী হতে থাকে। স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারনে বিদ্যালয়ের সকল নিয়মাবর্তিতায় ভাটা পড়ে। কোন ছুটি ছাড়াই তিনি বিদ্যালয়ে অুুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন,এনিয়ে সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। দীর্ঘ ২০ বছর যাবত একি বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকায় তিনি নিজে নিজে বটগাছ হয়ে গেছেন। বিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালনা কমিটি ও ততকালীন সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।এতে কোন সভা তিনি আহবান করেননি। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম একটি অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছেন
প্রধান শিক্ষিকার এমন আচরনে ক্ষোব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয় লোকজন।এ ব্যাপারে ২০২১ সালে এমন অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া বিদ্যালয়ে এসে এলাকাবাসী সাথে শিক্ষিকার সমস্যাটি আপোষে সমাধান করে দিয়েছেন। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে এড হক কমিটি গঠন করা হয়। নানা টাল বাহানা করে বিদ্যালয়ের পূর্বের আয় ব্যয় হিসাব তিনি দেন নি। এলাকাবাসী শিক্ষিকার সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন এসব হিসাব আপনাদের কাছে দিবো কেন,আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে আমি আয় ব্যয় হিসাব দিয়েছি, তোমাদের কাছে আমার হিসাব দেয়ার প্রয়োজন নেই।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে ঐ শিক্ষিকা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের নামে কোচিং বানিজ্য করছেন প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসে ১৫০ আদায় করেন। আনিত অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা শিরিন আক্তার জানান আমি একি বিদ্যালয়ে ২০ বছর যাবত শিক্ষকতা করে আসছি আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বর্তমানে ও কে বা কারা অভিযোগ করেছে কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না।আমি শুধু জানি আমার বিদ্যালয়ের হিসাব ক্লিয়ার আছে বলে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসী ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সবাি জানেন। তবু ও আমি অপরাধী আছি কি না আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে অপরাধী হলে আমার বিচার ও করবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।