জগন্নাথপুরে স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা; প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪

জগন্নাথপুরে স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা; প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি

স্টাফ রিপোটারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আটঘর গ্রামের আটঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি শিক্ষিকার সঙ্গে এক অভিভাবকের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে যাওয়া ঘটনাটি লিখিত মুচলেকায় ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড না করার অঙ্গীকার আবন্ধনে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা সেনা ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত লায়েক খান শিক্ষিকা ভাষা রায়ের কাছে ক্ষমা চান। এ সময় শিক্ষিকা ভাষা রায়সহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রু চাই মারমা, উপজেলা শিক্ষা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক কান্তি দে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিশী কান্ত রায়, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতাহার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ ক্ষত্রিয়, জালাল উদ্দিন, মনির হোসেন, বিমল তালুকদার,শংকর চন্দ্র নাথ, এবং স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য সহ আটঘর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
সহকারী শিক্ষক নুরুল হক, রুহুল আমীন, নোমান হোসেন সাদী, বাচ্ছু কুমার গোপ, শরিফুল মামুন, সুন্মিতা দাশ প্রমুখ। উপজেলা শিক্ষা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক কান্তি দে বলেন, অভিযুক্ত লায়েক খান ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত মুচলেকায় ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড না করার অঙ্গীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলমান অবস্থায় শ্রেণী শিক্ষিকা আটঘর গ্রামের লায়েক খানের ছোট বাচ্চাকে ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লায়েক খান শ্রেণি কক্ষে ঢুকে ওই নারী শিক্ষিকার কাছ থেকে তিনির ছোট বাচ্চাকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হল কেন এর কারণ জানতে চাইলে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়ে দুজনই উত্তেজিত হয়ে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটানা ঘটে। এতে ওই নারী শিক্ষিকা লাঞ্ছিত শিকার হন। পরে অন্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি শান্ত হয় । এর পরপরই ঘটনাটি স্থানীয় প্রসাশনের মাধ্যমে বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়। বিষয়টি সন্তুুষটি মূলক ভাবে নিষ্পত্তি হয়নি বলে উপজেলা শিক্ষক পরিবারের মাঝে অনেকের ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে ৩১’ আগষ্ট শনিবার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। সঙ্গে সেনা বাহিনি ও থানা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে। উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে সেনা ক্যাম্পে উপস্থিতি হয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। এতে শিক্ষিকা ও শিক্ষক পরিবার সন্তুষ্টি লাভ করেন।
এ ব্যাপারে লায়েক খানের ভাই রফু খান জানান, আমরা সামাজিক জীব সমাজ নিয়ে আামদের চলাচল হঠাৎ করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। বিষয়টি সকলের সহযোগিতায় নিষ্পত্তি হয়েছে আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই, এবং এর পাশাপাশি তিনি সকলের কাছে অনুরোধ জানান, এই ব্যাপারে কেউ অতি উৎসাহি না হয়ে কোন ধরনের গুজব বা সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে অহেতুক কথা বার্তা না বলার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।