তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার মদদ দাতা ওসি মাইন উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৪

তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার মদদ দাতা ওসি মাইন উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার ওসি মাইন উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রজনতা।
তাদের অভিযোগ থানার ওসি মাইন উদ্দিনের মদদে যাদুকাটা নদীতে রানু মেম্বার তার লোকজন নিয়ে নির্বিচারে নদীর পাড় কেটে বালু নিয়ে যায়।

শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আজিজুর রহমান কাউসারের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিনের মদদে বাদাঘাট ইউপি সদস্য রানু মিয়া (রানু মেম্বার) প্রকাশ্যে পাড় কেটে বালু তোলায় অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের মানুষ বসতবাড়ি হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে ইতিমধ্যে নদীর পাড়ের অনেক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। অসংখ্য বার থানা প্রশাসনকে অবগত করলেও ওসি পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো রানু মেম্বারের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পাড় কাটায় সহযোগীতা করছেন। পাড় কাটার মূল হোতা রানু মেম্বার যাদুকাটা নদীর ইজারাদার রতন মিয়ার লোক বলেও অভিযোগ করেন তারা। ছাত্ররা দাবি করে বলেন, যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার মদদ দাতা ওসি মাইন উদ্দিনকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। পাড় কাটার মূল হোতা রানু মেম্বারকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এবং যাদুকাটা নদীর ইজারা বাতিল করতে হবে। তা নাহলে পাড় কাটার কারনে যাদুকাটা নদীর পাড়ের গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে।প্রশাসন ওসি মাইন উদ্দিন কে দ্রুত অপসারণ না করলে কটোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেন ছাত্ররা।মানববন্ধন শেষে ছাত্ররা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এবিষয়ে যাদুকাটা নদীর ইজারাদার রতন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত রানু মেম্বার আমার লোক না। রানু মেম্বার সহ এই পাড়ের কয়েকজন নেতা এর সাথে জড়িত। আমার লোকজন পাড় কাটায় বাধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলা করে তারা। আমি সব সময় পাড় কাটার বিপক্ষে। এর আগে কয়েকবার উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক বরাবর পাড় কাটার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেছি।যারা পাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক।

তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, আমি গতকালকে পাড় কাটা বন্ধ করতে নিষেধ দিয়ে এসেছি। যারা পাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। পাড় কাটা বন্ধ হলে অনেকের স্বার্থে আঘাত আসবে। যাদের স্বার্থে আঘাত আসবে তারাই ছাত্রদের দিয়ে মানববন্ধন করিয়েছে।

সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এম এন মোর্শেদ জানান, যাদুকাটায় নদীর পাড় কাটার সাথে আমাদের কোন পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবুল হাসনাত রাহুল, ছাত্র আনিসুর রহমান সাকিব, জাহিদ আল সুজন, সজিবুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান আকাশ, মইনুল ইসলাম, নবাব সারুয়ার ইয়াহিয়া, তপু আহমেদ, আবুল হাসান খাইরুল, হুমায়ূন কবির, এমদাদুল হক, আবরার মুরাদ প্রমুখ।