অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ; প্রভাষক,দুলাল মিয়া

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৪

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ; প্রভাষক,দুলাল মিয়া

ভাটির কন্ঠ ডেস্ক :  মো.জিল্লুর রহমান চৌধুরী! চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।তাঁকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বানোয়াট, আজগুবি গল্প সাজিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। যা দেখে সমাজের বিবেকবান মানুষজন খুবই বিস্মিত ও মর্মাহত। একটি টিভি চ্যানেল পেশাদারিত্ব/দায়িত্বশীল না হয়ে কোনো সংবাদ প্রচার করবে এটা কেউই প্রত্যাশা করে না। একজন সৎ ও মানবিক  অফিসারকে একজন সাবেক মন্ত্রীর জামাতা ট্যাগ দিয়ে কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে  চরিত্র হনন করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
গণমাধ্যম মানুষের আস্থার জায়গা। ভরসার ঠিকানা। কিন্তু যখনই একজন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান  সম্পর্কে কোনো খোঁজ  না নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ/ প্রতিবেদন পরিবেশন করে তা  দেশ/জাতির জন্য খুবই খারাপ বার্তা দেয়। ওই টিভি চ্যানেলকে বলবো,মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর যেখানে জন্ম/বেড়েওঠা এবং চাকরি জীবনে  যেসব জায়গায় তিনি কাজ করেছেন, সেসব জায়গায় একটু খোঁজ নেন।সুবিধাভোগী/সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।আশাকরি,তখনই জানতে পারবেন, মো.জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সততা, কর্মনিষ্ঠা,সাহসিকতা ও দেশপ্রেম সম্পর্কে। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে কোনো অপশক্তির কাছে কখনো  নত হন নি।কোনা অন্যায়/অনিয়মকে তিনি প্রশ্রয় দেন নি। নির্ভিক চিত্তে অপশক্তির  মোকাবিলা করেছেন। কখনো আপোশ করেন নি। জানাযায়,গত ৭ আগস্ট দেশে সরকার না থাকার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান দপ্তরে নাশকতা ও ভাঙচুরের যে প্রস্তুতি নিয়ে ছিল তাও তিনি তাঁর দক্ষতা ও সাহসিকতার দ্বারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ও নীতিতে তিনি অটল।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন  ক্ষমতাশীল দলের আধিপত্যের নিকটও তিনি নতি স্বীকার করেন নি।বলিষ্ঠভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নীতিতে অটল থাকায়  তাঁকে ‘বিভাগীয় কমিশনার’ পদ ছাড়তে হয়েছে। তিনি পদোন্নতি বঞ্চিতও হয়েছেন। ৩০মে ২০২৩ খ্রি. খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় যা ঘটেছিল : “গত ৩০ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক বলেন, নগরীর মোড়ে মোড়ে নামে-বেনামে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয়ে রাতে অসংখ্য মানুষ থাকে। এ কার্যালয়গুলো বন্ধ করা প্রয়োজন। তখন মিলনায়তনে থাকা ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এর পরও মুশফিক কথা চালিয়ে যাওয়ার সময় ‘কথা সত্য না; মিথ্যা, মিথ্যা’ বলে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের চেঁচামেচিতে মুশফিকের অভিযোগ অন্যরা ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছিলেন না। তখন মুশফিক বলছিলেন, ‘আমাকে বলতে দিন, প্লিজ।’ এ সময় মতবিনিময় সভার সভাপতি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চেয়ার ছেড়ে মাইকের সামনে যান। তিনি চিৎকারকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘পেশিশক্তি শো করছেন? আমি তো তা-ই মনে করি। বেশি বাড়বেন না। শোনেন, আইন হাতে নেবেন না। তিনি (স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী) কথা বলছেন, তাঁকে কথা বলতে দেন। নির্বাচন কমিশন সচিবের অনুমতি নিয়ে তিনি কথা বলছেন; প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে। আপনি তাঁকে ভুয়া ডাকবেন কেন? এখানে তো গণতন্ত্রের গ-ও নেই। সাবধান করে দিলাম আপনাকে। আমি আপনার ছবি তুলেছি। এখানে রাষ্ট্র বসে আছে। আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করি, যে যাঁর কথা বলেন, শালীনতার সঙ্গে বলেন, নিয়মের সঙ্গে বলেন। নিজেকে মহামহিম মনে করবেন না।’ বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, ‘এখানে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। এটা আমরা করতে দেব না। কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করলে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নির্বাচনের সুন্দর একটি পরিবেশ আছে খুলনায়। নির্বাচনের পরিবেশকে অশান্ত করবেন না। সুন্দর একটি নির্বাচন হবে এখানে।” (সূত্র :দৈনিক সমকাল, ০৯জুন ২০২৩)।
ওই টিভি চ্যানেলকে বলবো,কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে না জেনে এভাবে নিউজ/প্রতিবেদন  করবেন না।এসব বন্ধ করুন।এমন হলে সাহসী ও নীতিবানদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়। যা স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ