প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৪
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে বানিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কে হুচনারঘাট হতে পাতারগাও নামক স্তানে খেয়া পারাপারের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
স্বজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়ার তালিকা নেই। নেই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা, কেবলমাত্র খেয়ায় উটলেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। আর রাতের চিত্র হয়ে উঠে আরও ভয়াবহ। জরুরি কাজে পারাপার কিংবা অসুস্থ রোগী নিয়ে এসব খেয়া দিয়ে এপার থেকে ওপারে যেতে হলে দর কষাকষি ছাড়াই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা । আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে গ্রামীন জনপদের খেয়াঘাট কথিত ইজারাদারদের দাপট। মানুষের সেবা নয়, খেয়া পারপারের নামে এখানে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। প্রতিদিন এই খেয়াঘাট দিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার। তবে এই খেয়াঘাটটিতে যাত্রী পারাপারে সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়ার তালিকা সাটাননি কথিত ইজারাদাররা।
ফলে জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা। আর রাত হলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। অসুস্থ রোগী কিংবা অন্য কোন কাজে পারাপার হতে হলে গুনতে হয় এক থেকে দুই শত টাকা। এই রাস্তায় বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেয়াঘাটে ভাড়ার নামে চাঁদাবাজির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কে মোটর সাইকেল চালক মুকলেছ,তুহিন, মন্তুস সহ একাদিক ব্যক্তি জানান, আমরা একজন যাত্রিক নিয়ে তাহিরপুর থেকে বাদঘাট বাজারে যাই ১০০ থেকে ২০০ শত টাকা ভাড়া দিয়ে, কিন্তুু পাতারগাও খেয়া পারাপার হতে গেলেই মাঝি কে চাঁদা দিতে হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা।যাহা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে দ্বিগুন। রাত হলেই গুনতে হয় আরও অধিক টাকা, কেউ যদি কম দিতে চায় তাহলে তার সাথে ইজারাদার খারাপ আচরন করে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা এমদাদ হোসেন বলেন তাহিরপুর থেকে বাদাঘাট যেতে হলে পাতারগাও নামক স্থানে খেয়াতে প্রতিটি মানুষ চাঁদা দিতে হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রাতে কেউ যাতায়াত করলে গুনতে হয় দিগুণ টাকা।মানুষের যাতায়াতের জন্য বিগত বছর এই খেয়াটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। কিন্তু এই বছর খাসকালেকশনের নামে একটি চাঁদাবাজ মহল সাধারন মানুষের উপর জুলুম করে টাকা আদায় করছে।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে অসহায় গরীব মানুষদের রক্ষা করুন, এবং নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।
খেয়াঘাটের কথিত ইজারাদার মোবারক হোসেন, দেওয়ান আলী বলেন আমি সরকারের কাছ থাইক্কা টেকা দিয়া ঘাট আনছি, আমার টাকা উটাইতে হইলে ৩০ টাকা কেনে এর চাইতেও বেশি টাকা ভাড়া নিমু তাথে কি যায় আসে।কেউ টাকা না দিলে তার সাথেত খারাপ আচরণ করবই।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের মুবাইল ফোনে একাদিকবার ফোন দিলে কল না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন বলেন, খেয়াপারাপার হতে জনগনের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন, সাধারন যাত্রীদের হয়রানী করে খেয়া পারাপারের নামে কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest