ছাতকে সরকারি গাছ বিক্রয় করায় ইউএনও বরাবর অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৪

ছাতকে সরকারি গাছ বিক্রয় করায় ইউএনও বরাবর অভিযোগ

ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকের ছৈলা- আফজালাবাদ ইউনিয়নের সোনালী বাংলা বাজারে সরকারি গাছ কেটে একটি মহল কর্তৃক বিক্রয় করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ) ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসীর পক্ষে ব্রাহ্মনজুলিয়া গ্রামের মৃত হাজী মনফর আলীর পুত্র মোঃ মর্তুজ আলী।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, সোনালী বাংলা বাজারে দুটি উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের মানুষ নিয়মিত হাটবাজার করে আসছেন। সেই বাজারে ব্রাহ্মনজুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র মোঃ এখলাছুর রহমান ফয়েজ সহ এলাকার ৭-৮ জন প্রভাবশালী মিলে বাজারের মধ্য গলির বড়-বড় ৫ টি রেইন্ট্রি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। যার মূল্য অনুমান ৩ লক্ষ টাকা হবে। গাছ ক্রয় কারীরা বর্তমানে গাছের গোড়া উত্তোলন করে যাচ্ছে।
এলাকার লোকজন বাজার গলিতে সরকারি গাছ বিক্রি ও গাছের গোড়া উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলার হুকমি দেয় ওই প্রভাবশালীরা। অভিযোগে একই গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র সিদ্দেক আলী, সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ খলিল,শেখপাড়া গ্রামের মৃত লিলু মিয়ার পুত্র কছির আলী, বিশ্বনাথ উপজেলার কুনাউড়া-নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আজম আলীর পুত্র ছুরাব উদ্দিন,সাতপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দর রউফ,নোয়াগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের আস্তফা মিয়ার পুত্র ইরন মিয়া,মৃত হাছন নুরের পুত্র আবুল কাশেম সাহান ও আব্দুল মন্নানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ) বিকেলেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্নার নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক উপজেলা বিট-ফরেষ্ট কর্মকর্তা শাহীনুর আলম। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনও মহোদয়ের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কাটা গাছের গোড়া উত্তোলন বন্ধ রাখার কথা বলেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাজারের ব্যবসায়ী জেনারেল কমিটির সভাপতি এখলাছুর রহমান ফয়েজ বলেন বাজারের মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী ছিদ্দিক আলী, মুতাওয়াল্লী মোজাহিদ আলী,সেক্রেটারি কছির আলী, বাজার কমিটির সভাপতি শফিক মিয়া,সহ সভাপতি আব্দুর রউফ,হিরন মেম্বার,জেনারেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আছাব আলী সহ এলাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে গাছগুলো বাজার ও মসজিদের রাস্তা উন্নয়নের কাজে ব্যায় করার জন্য গাছ ৫-৬ মাস পূর্বে বিক্রি করা হয়েছে।
যেহেতু এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ হয়েছে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবো।স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহিদ বলেন বাজার ও মসজিদের উন্নয়ন আমরা সবাই চাই। কিন্তু বাজারের ও মসজিদের রাস্তা আমি নিজে সরকারি ভাবে করেছি। নতুন করে রাস্তার কোনো প্রয়োজন নেই, বাজার হাটের বিষয় হচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অধিকার। তাই যা করার সকলের সমন্বয়ে করা প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তিনিই এর সমাধান দেবেন।এলাকার মরুব্বি আছাব আলী বলেন,বাজারের গাছ গুলো না কাটার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা, জোর যার মুল্লুক তার এরকমই হয়েছে।গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান সরকারের শ্লোগান হলেও আমাদের এখানে তার উল্টো ঘটতেছে।