প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৪
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের বারুংকা ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তাটি অতি সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলের কারনে নিছু স্থানটি ডুবে গিয়ে সাময়িক জনগনের চলাচলের বিঘ্ন ঘটে।
উল্লেখ্য যে গত বৃহস্পতিবার সকাল বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সাময়িক ডুবন্ত রাস্তাটি মানুষজন পারাপারের জন্য ইজারা দেন ৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে। জনমহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে এই রাস্তাটি গ্যাজেটভুক্ত কোন খেয়াঘাট নয় তাহলেএত টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব কিভাবে ইজারা দেন।
খেয়া পারাপারের নামে ইজারাদার গোলেনুর এবং আশিকনুর প্রতি মানুষের নিকট থেকে ১০ টাকা,প্রতি মটর সাইকেল থেকে ৩০ টাকা,যাত্রী ছাড়া মোটরসাইকেল থেকে ১০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন যাহা ফেরি চলাচলের নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে দিগুন।কোন মানুষজন এতটাকা ভাড়া দিতে না চাইলে ইজারাদার গোলেনোর এবং আশিকনূর তাদের সাথে চরম খারাপ আচরন করেন।
বালিজুরি ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন,তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে কোন ধরনের খেয়াঘাট নেই। সাময়িক পানিতে নিছু রাস্তাটি কিছুটা ডুবেছে। চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি কোন মাইকিং ছাড়াই গোপনে খেয়াঘাট বলে ইজারা দিয়ে দেন।ওনি প্রতি বছরই হাওরে পানি আসলে এই রাস্তাটি বিশাল টাকার বিনিময়ে গোপনে ইজারা দেন। ইজারাকৃত টাকা ওনি সরকারের কোন কোষাগারে জমা করেন ইউনিয়ন বাসী জানতে চায়।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়া চেয়ারম্যান সাহেব খেয়াঘাট এত টাকা দিয়ে ইজারা দিতে পারেন কি?
মোটরসাইকেল চালক রফিক মিয়া বলেন, জীবনে অনেক খেয়া পার হইছি কিন্তু এই রকম খাটাশলোক আর পাইছিনা।সকল জায়গায় মোটরসাইকেল ভাড়া নেয় ২০ টাকা। আর এখানে নেয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা,কিছু বল্লে কয় তোর চেয়ারম্যান কে গিয়ে জিজ্ঞেস করগা।এখানকার মানুষ খেয়া ইজারাদার গোলেনোর এবং শফিকনুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আমরা মোটরসাইকেল চালকরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
খেয়া নামক ইজারাদার গোলেনোর মিয়া বলেন, আমি এই খেয়াঘাটটি চেয়ারম্যান আজাদ মিয়ার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দিয়ে এনেছি,আমি প্রতি মটর সাইকেল থেকে ৩০ টাকা,প্রতি মানুষ থেকে ১০ টাকা,খালি গাড়ি থেকে ১০ টাকা ভাড়া আদায় করি।কোন মানুষের সাথে খারাপ কোন আচরণ করিনা।এত টাকা দিয়া ঘাট আনছি টাকা তুলতে হবেনা।
বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, আমি গতকালকে মানুষজন চলাচলের জন্য এই ঘাটটি ইজারা দিয়েছি। কিন্তু ইজারাদারএখনো সমস্ত টাকা পরিশোধ করেনি। সমস্ত টাকা পরিশোধ করলে আমরা ভাঁড়ার একটি তালিকা করে দেব।মানুষের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন বলেন, এখানে কোন খেয়াঘাট আছে আমার যানা নেই কেউ যদি খেয়াঘাটের নামে জনগণের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক – জাকিয়া সুলতানা
ঠিকানা – সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পয়েন্ট, সুরভী ১২/২ হাছন নগর সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নাম্বার ০১৩১০৮৬৮৩১৩
email- noorerfouara94@gmail.com
Design and developed by Web Nest