হাওরের ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ নিয়ে কোন ব্যবসা করা যাবে না : জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

হাওরের ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ নিয়ে কোন ব্যবসা করা যাবে না : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। মংগলবার দুপুরে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের খরচার হাওরের জিরাক তাহিরপুর বাধে মাটি কেটে জেলা প্রশাসক ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। চলতি বছর জেলার ছোট বড় ৪৮ টি হাওরে ৭০০ কিলোমিটার বাধ নির্মাণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এজন্য একশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। হাওরের পানি পুরোপুরি সরে যাওয়ার পর সব গুলো হাওরে বাধ নির্মানের কাজ শুরু হবে। এর আগে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ফসল রক্ষা বাধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন ও বাধের ত্রুটিবিচ্ছুতি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে জানার জন্য গণশুনানিতে অংশ গ্রহণ করে তাদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, হাওরে উৎপাদিত একমাত্র বোরো ধান শুধু সুনামগঞ্জবাসীর খাদ্যের যোগান দেয় না দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। হাওরের ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ নিয়ে কোন ব্যবসা করা যাবে নাহাওরের ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ নিয়ে কোন ব্যবসা করা যাবে না। এই দায়িত্ব প্রশাসন পানি উন্নয়ন বোর্ড জনপ্রতিনিধির একার নয়। বাধ নির্মাণে সবাই একযোগে কাজ করতে হবে।

হাওরের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা জন্য সরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে বাধ নির্মাণ করে। বাধ নির্মাণে কোন অনিয়ম হলে এতটুকুও ছাড় দেয়া হবে না। হাওরের পানি সরে যাওয়ার সংগে সংগে বাধ নির্মাণ করতে হবে। তবে বাধের গুণগত মান জেন ঠিক থাকে সে বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোন অবহেলা সহ্য করা যাবেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরের পানি পুরোপুরি নামলে ৪৮ টি হাওরেই বাধ নির্মানের কাজ শুরু করতে হবে। বন্যার কারণে এবছর বাধে ভাংগন বেশি হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে বাধের অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এবছর বাধের ছিদ্র বা সি পেজ বন্ধ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। বাধে মাটি ফেলার পরপর কম্পেকশন করতে হবে। যাতে বাধের নিচে থাকা ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাধ সুষ্ঠু ভাবে নির্মাণের জন্য এবার পিআইসি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি সদস্য বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেকেই জেন বাধ নির্মাণের সঠিক ভুমিকা পালন করতে পারেন। ইউনিয়ন পরিষদ প্রাংগনে গণশুনানির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উপকার ভোগী কৃষক, স্কুলের শিক্ষক, জমির মালিক সবাইকে নিয়ে গণশুনানির পরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারপরও যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে তা লিখিত ভাবে উপজেলা কমিটিকে অবহিত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভালো ভাবে বাধ নির্মাণ করা হলে হাওরের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এবছর জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।