কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যয়ে;গরম কাপড় কিনতে দোকানে ভীড়

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যয়ে;গরম কাপড় কিনতে দোকানে ভীড়

এম এ মান্নান, মধ্যনগর,সুনামগঞ্জ থেকেঃ

কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় সারা দেশের মতো,হাওরাঞ্চলের মানুষের হাঁড় ভাঙা শীতে জনজীবন বিপর্যয়ে,গরম কাপড় কিনতে দোকানে ক্রেতাদের ভীড়। সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় গত ১০ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলে নেই হাওর অঞ্চলের মানুষের । ঘন কুয়াশার কারণে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।

শীত থেকে রক্ষা পেতে ছুটতে হচ্ছে গরম কাপড়ের দোকানে। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয়, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পদচারণায় পরিপূর্ণ দেখা গেছে শীতের কাপড়ের দোকান গুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাথে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাদ যাচ্ছে না শপিংমলের দোকানগুলোও। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উপজেলার সর্বত্রই গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। নিজের ও পরিবারের জন্য শীতের কাপড় কিনছেন তারা। বুধবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজার খলিফাপট্রি ও কাপড়পট্রি এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

উপজেলা সদর বাজার খলিফাপট্রি ও কাপড়পট্রিতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। এসব দোকানে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের উপযোগী কাপড় পাওয়ার জন্য যাচ্ছে হাট বাজারে। জ্যাকেট, সোয়েটার, ফুল হাতা টি-শার্ট, ব্লেজার, হুডি, চাদর, মাফলার, কানটুপি, হাত-পায়ের মোজা বিক্রি করছেন তারা। মার্কেটের দোকানের বাইরে রাস্তার ফুটপাতেও বসেছে অস্থায়ী গরম কাপড়ের দোকান। শীতের কাপড়ের পাশাপাশি ভালো বেচাকেনা চলছে লেপ-কম্বলের দোকানেও। ফ্যাশন বিতান গুলোর চেয়ে ফুটপাতে পণ্যের দাম কিছুটা কম হওয়ায় ক্রেতারা ভিড় করেন রাস্তার পাশে বসে থাকা দোকানগুলোতে। সদর বাজার খলিফাপট্রির রেডিমেড কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, এখানকার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ বয়সের। তাদের কথা মাথায় রেখেই কাপড় সংগ্রহ করেছেন। কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত শীতের কারণে বেচাকেনাও ভালো। পরিবারের জন্য শীতের কাপড় কিনতে আসা আবুল বাশার বলেন, ফুটপাতে কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম। তবে, দোকানদাররা দাম চান বেশি। তাই, দেখে শুনে কিনতে হচ্ছে।

ফুটপাতের বিক্রেতারা জানান, হাওরাঞ্চলে শীতের আবহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গরম কাপড়ের বাজার বেশ জমজমাট। গত কয়েক দিন ধরে প্রায় সব দোকানেই শীতের কাপড় কেনাবেচা শুরু হয়েছে। আরেক দোকানি স্বপন মিয়া নামের এক বিক্রেতা জানান, কিছুদিন আগেও শীতের তীব্রতা তেমন একটা ছিল না। যার কারণে আমাদের বিক্রিও খুব বেশি হয়নি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড তীব্র শীত পড়ায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তিনি বলেন, শিশু ও বয়স্কদের কাপড়ের চাহিদা সব চেয়ে বেশি। তবে সব বয়সী মানুষের কাপড়ই বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে মাফলার, কনটুপি, হাত মোজা, পা মোজার চাহিদা রয়েছে অনেক।

এম এ মান্নান,
মধ্যনগর,সুনামগঞ্জ
০১৭৭১৯২১৬৫২
১৭/০১/২৪