ধর্ষক জয়নুল ইসলাম মামলার ৪ মাস পরেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে

প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩

ধর্ষক জয়নুল ইসলাম মামলার ৪ মাস পরেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে

ভাটির কণ্ঠ ডেস্ক : ধর্ষন করার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও আজো ধরা চোয়ার বাহিরে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নবীনগর শ্রীরামসি গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪০)।

সরেজমিন ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, গত ৩১ মে সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় নিজ বাড়ী হইতে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়ী শুটকি আনতে গিয়েছিল ভিকটিম।তখন নানার বাড়ী নিজ বাড়ী ফিরার সময় পথিমধ্য একই গ্রামের জয়নুল ইসলাম এই শিশুবাচ্চাকে কাছে ডেকে নিয়ে পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এবং বিষয়টি কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি প্রদান করে ধর্ষক। হুমকির ভয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিষয়টি প্রথমে কাউকে বলেনি। কিন্তু সে নিজ ঘরে আসার পর খুব কান্নাকাটি করে তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখতে পেয়ে এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবারের লোকজন মিলে তাৎক্ষণিক ভিকটিম ছাত্রীকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে রেফার করেন। তারপর সেখানেই অনেকদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফিরে। এই
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক জয়নুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানায় তার পরিবার। ভিকটিম ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪৫)কে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলাও দায়ের করেন।

ভিকটিম ছাত্রীর মা রিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন,আমরা গরিব,অসহায়। আজকাল গরিবের বিচার নাই। আমার নাবালক শিশুকে জয়নুল ইসলাম ধর্ষন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমার বাচ্চাটা আজ গৃহবন্দী, তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমি চিন্তিত। ডাক্তার দেখানোর পরও আমার বাচ্চাটা স্বাভাবিক নাই। তার পড়ালেখাও বন্ধ। আমি ৪ মাস আগে থানায় মামলা করছি কিন্তু আসামী জয়নুলরে আজো ধরেনি পুলিশ। আমি বিচার চাই সবার কাছে।আমার অবুঝ শিশুটার সাথে পশুর মতো আচরণ করছে। এই পাষণ্ড ধর্ষক জয়নুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হউক।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষক জয়নুল যে কাজটা করেছে এটা খুবই নিন্দনীয় ও ঘৃনার কাজ। আমি আজ শুনেছি, অবশ্যই এরকম নেক্কারজনক ঘটনার ধর্ষকের সর্বোচ্ছ শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আমরা ধর্ষক জয়নুলকে ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতেছি। এবং গ্রেপ্তার করতে অভিযান এখনো অব্যাহত আছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ