দোয়ারাবাজারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৩

দোয়ারাবাজারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টি আর ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে ৫টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার নরসিংপুর সড়কের ব্রিটিশ সড়ক,দোয়ারাবাজার -বোগলাবাজার সড়কের শরীফপুর,দোয়ারাবাজার-নৈনগাও সড়কের মাঝেরগাও হাসপাতাল সড়ক,লক্ষীপুর-মহব্বতপুর সড়কের রাবারড্যাম্প এলাকাসহ কয়েকটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো-বাংলাবাজার, নরসিংপুর,লক্ষীপুর, সুরমা ও বোগলাবাজার ইউনিয়ন।
স্থানীয়রা জানান, মৌলা,চিলাই,খাসিয়ামারা, মরাচেলা, চেলা, চলতি, কালিউরি ও ছাগলচোরাসহ সবক’টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দোয়ারাবাজারের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার ফলে বোগলাবাজার ইউনিয়নের চিলাই নদীর রাবার ড্যামের উত্তর পাশে ক্যাম্পের ঘাট গ্রামের বেরীবাধ ভেংগে ক্যাম্পের ঘাট, বোগলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়বন্দ, রায়নগর, সুন্দরপই, বাগড়া, মাইজখলা,সুরমা ইউনিয়নের ভূজনা,নূরপুর,সোনাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সুরমা ইউনিয়নের বৈঠাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি থৈ থৈ করছে।
উপজেলার সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, পাহাড়ি ঢলে খাসিয়ামারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাঙতে শুরু করেছে রাবারড্যাম্প -মহব্বতপুর রাস্তাটি। মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে টিলাগাঁও রাবারড্যামের উভয় তীরের বেড়িবাঁধ।
বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান জানান,বোগলাবাজার ইউনিয়নের চিলাই নদীর রাবার ড্যামের উত্তর পাশে ক্যাম্পের ঘাট গ্রামের বেরীবাধ ভেংগে ক্যাম্পের ঘাট, বোগলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে,ক্যাম্পের ঘাট-ইদুকোনা রাস্তা কাম বেরীবাধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ মোর্শেদ মিশু জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে পানি উঠে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের সামায়িক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।১৫টিববন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রাথমিক ভাবে প্রস্তত রয়েছে।তবে, বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ