সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রের পথে মানুষ

প্রকাশিত: ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৩

সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রের পথে মানুষ

ভাটির কন্ঠ ডেস্ক: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জের সবকয়টি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধান নদী সুরমার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে সড়ক- রাস্তাঘাট। অনেক জায়গায় পানির স্রোতে সড়ক ভেঙে গেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাওরের লক্ষাধিক মানুষ।এদিকে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বাধ্য হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন অনেকে। আবার অনেকে বসতভিটার গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র নিয়ে নৌকা করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে আবার কোনো রকম ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উঁচু স্থানে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ।আশ্রয়কেন্দ্রে উঠা সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নতুন হাছননগরের নার্গিস বেগম বলেন, ঘরে কোমড় পানি উঠে গেছে। বাচ্চা-কাচ্চা সামলানো খুব কঠিন হয়ে গেছে। তাই মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে কলেজে এসেছি। ঘরে পানি উঠে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এতক্ষণে নিশ্চিত ঘরে বুক সমান পানি উঠে গেছে।এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলায় ৪৪৯ মেট্রিক টন জিআর চাল, ২২ লাখ টাকা ও দুই হাজার শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এদিকে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে জুলাই মাসে দেশের মধ্যাঞ্চলসহ উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও পার্বত্য অববাহিকায় বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানের জন্য রোববার (২ জুলাই) বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, জুলাই মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।