নির্ঘুম রাত কাটছে দর্জিদের

প্রকাশিত: ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৩

নির্ঘুম রাত কাটছে দর্জিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক::

২৯শে জুন মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। তাই ঈদকে সামনে রেখে বিরামহীন কাজ করছেন দর্জি কারিগররা। চলছে সেলাই মেশিনের অবিরম ঘর ঘর শব্দ। কর্মব্যস্ত নারী পুরুষ একের পর এক সেলাই করে চলেছেন নতুন পোশাক। ঈদকে সামনে রেখে ধনী গরিব সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদের নতুন পোশাকের সন্ধানে। আর তাদের চাহিদা জোগান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জিরা।

ফ্যাশন সচেতন নারী পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন নামীদামী টেইলার্সগুলোতে, আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরিতে মেতে উঠেছেন তারা। কাজের চাপে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন দর্জিরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন হাওরাঞ্চলের জামালগঞ্জ, সাচনা বাজার সহ উপজেলার হাট বাজারের দর্জিরা।

সরজমিনে গিয়ে সাচনাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ও পছন্দের কাপড় তৈরিতে মহাব্যস্ত সময় পাড় করছেন জামালগঞ্জ উপজেলার প্রায় শতাধিক দর্জি।

প্রিয়াংকা পাঞ্জাবী টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী গোবিন্দ্র পাল জানান, যারা একটু ভিন্ন ডিজাইনের আর ফিটিংয়ের পোশাক পড়তে পছন্দ করেন তারাই মূলত টেইলার্সে আসেন। ২ সপ্তাহ আগ থেকে শুরু হয়েছে অর্ডার নেওয়ার কাজ। এই কাজ চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। তাই দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের।

কারিগর আলী আহমদ বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে দুই ঈদকে ঘিরে গ্রাহকদের কাপড় সেলাইয়ের জন্য দম ফেলার সময় থাকে না। এসময় আমাদের কাজের চাপ বৃদ্ধি পায়, এতে করে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়ে সময় মতো কাপড় ডেলিভারী দেওয়ার চেষ্টা করি।

আব্দুস সালাম নামের ক্রেতা জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি তৈরি করা শার্ট প্যান্ট পড়েন। প্রতি বছর ২ থেকে ৩ সেট পোশাক বানাতে হয়। ব্যতিক্রম হয়নি এবারের ঈদেও, একটি শার্ট ও ১টি প্যান্ট বানাতে সেলাই খরচ নিয়েছে ১২শত টাকা। এবার মজুরি বেশী নিচ্ছেন দোকানীরা। অন্য বছর একই কাজ ৯শত’ টাকায় করা হতো।