ছাতকে ব্যাপক দূর্ণীতি করে গোপনে ঢাকায় বদলী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৩

ছাতকে ব্যাপক দূর্ণীতি করে গোপনে ঢাকায় বদলী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা

ছাতক প্রতিনিধি:

ছাতকে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) মো. ইব্রাহিম মিয়া ও ভ্যাটেনারী সার্জন ইমান আল হোসাইনের বিরোদ্ধে ব্যাপক দূর্ণীতি, ঘুষ দাবি ও অর্থ লোপাট করে ইউএলও গোপনে ঢাকায় বদলী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকতা (ইউএলও) মো. ইব্রাহিম মিয়া ও ভ্যাটেনারী সার্জন ইমান আল হোসাইন হত দরিদ্র ছাগল লালন পালন কারি খামারিদের তিন দিনের ট্রেনিং একদিন এক ঘন্টা করিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা, যাতায়াত খরচ, দুপুরের খাবার, প্রশিক্ষণ উপকরন ক্রয়ের নামে লক্ষাধিক অর্থ লোপাট করেন। এমনকি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে অর্থ লোপাট করে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ‘লিব রির্জাভ ডেপুটেশনে’ ‘উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা’ হিসেবে যোগদান করেন মো. ইব্রাহিম মিয়া।

জানাযায়, ২০২২ সালে আগস্টে মুরগীর ট্রেনিংয়ের পুরো অর্থ লোপাট করেন এছাড়া সরকারি ভ্যাটেনারি ঔষধ অন্যত্র বিক্রয়, সরকারি মালামাল বিতরনের নামে অর্থ আদায় ও হতদরিদ্রের মাঝে প্রকল্পের মালামাল বিতরণে জালিয়াতি ও এলএফএফ প্রকল্পের কর্মচারীদের টাইমসিটে সাইন করতে ঘুষ দাবী করছেন এই কর্মকর্তা। এমনকি ঘুষ না দেয়ায় প্রকল্প থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকা এলএসপি কর্মকর্তা সজীবকে। যার বেতন ভাতা ও সরকারি মূল্যবান প্যাড আত্মসাৎ করেন। ইব্রাহিম মিয়া’র দূর্ণীতিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন ভ্যাটেনারী সার্জন ইমান আল হোসাইন।

এদিকে, তিনদিনের ট্রেনিং একদিন একঘন্টা করিয়ে অর্থ লোপাটের বিষয়টি জানাজানি হলে খামারিদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে উঠান বৈঠক করে তিনদিন ট্রেনিং করিয়েছেন বলে খামারিদের বলে আসেন।

জাউয়া ইউনিয়নের এলএফএফ কর্মকর্তা ইমান আলী জানান, আমাদের ইউনিয়নের লোকজন ১দিন ট্রেনিং করে ৪৫০টাকা করে পেয়েছেন। মুরগী খামারিদের ট্রেনিংয়ের বিষয়টা আমরা জানিনা।

মাসুদ নামের আরেক খামারী জানান, সরকারি গোখাদ্য নিতেও ঘুষ দিতে হয়। গাড়ী ভাড়ার নামে আমার কাছ থেকে তিনি সেই গোখাদ্যের টাকা উদ্ধার করেন। এমনকি সরকারি পশু চিকিৎসার সকল ঔষধপত্র পয়সা ছাড়া ফ্রীতে দেন না। অথচ প্রধানমন্ত্রী সাধারন মানুষের জন্য ফ্রীতে দেবার ব্যবস্থা রেখেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান, সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকার ঔষধ গোপনে ভ্যাটেনারী দোকানে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরোদ্ধে।

আব্দুল কাদির নামের আরেক দরিদ্র কৃষক জানান, কিছুদিন আগে আমার গাভীটার ফুলা বেমার ছিল। প্রাণীসম্পদ অফিসে গেলে তারা ৩হাজার৫শ টাকা দাবী করেন। এমনকি অফিসের কোন কর্মচারী টাকা ছাড়া কোন ধরনের সহায়না করতে অসিকৃতি জানান।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী জানান, তিনি চলে গেছেন আমি জানিনা। তাছাড়া উনার কর্মকাণ্ড নীতি বহির্ভূত হলে উনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

এব্যাপারে ছাতক উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।