ছাতকে সার-বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনে কৃষকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২২

ছাতকে সার-বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনে কৃষকদের বিক্ষোভ

ছাতক সংবাদদাতা :: ছাতকে সার-বীজ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। বুধবার দুপুরে মিছিল করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা শান্ত হয়। এ সময় কৃষকরা উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পারভেজ ও মোজাম্মেলের অপসারণ দাবি করেন।
বিক্ষোভকারী কৃষকদের দাবি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ৬০০ জন কৃষকের মাঝে সার ও বীজ এবং হাইব্রিড বীজ বিতরণে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে উপজেলা কৃষি অফিসের দায়ীত্বশীল উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পারভেজ ও মোজাম্মেল। তালিকাভুক্ত ৬০০ জন কৃষকের মধ্যে ৪০০ জনকে সার-বীজ ও হাইব্রিড প্রদান করা হলেও বাকী প্রায় ২০০ জন কৃষকের সার-বীজ ও হাইব্রিড বীজ দেয়ার নামে টালবাহানা করেছে এ দুই কর্মকর্তা। একাধিক তারিখ করেও খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয় কৃষকদের। এতে উপজেলার সীমান্ত অঞ্চল থেকে আসা এসব গরীব কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এসময় উপস্থিত ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. সুফি আলম সুহেল কৃষকদের শান্ত করে বলেন, কৃষকরা হচ্ছে এদেশের প্রাণ। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার যুগপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিনা মূল্যে সার, বীজ সহ কৃষি উপকরণ কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার। কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে সরকারের এসব পদক্ষেপ ক্ষুন্ন হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করে কৃষকদের কল্যাণে কাজ করার জন্য কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।

এসময় কৃষকদের উদ্দেশ্য করে কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসন খান বলেন, দেশের কৃষির উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা ছাড়াও সার, বীজ সহ কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার। এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে মাঠ পর্যায়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন একজন করে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। প্রশিক্ষণ সহ সরকারী সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ যথাসময়ে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষকদের নিয়ে এটি একটি কু-চক্রি মহলের ষড়যন্ত্র। তালিকাভুক্ত সকল কৃষকের জন্য সার-বীজ ও হাইব্রীড বীজ মজুদ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী বলেন, সার-বীজ বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিতরন কমিটির সভাপতি হিসেবে তাকে অবহিত করা উচিত ছিলো। তাকে বিষয়টি অবগত করা হলে হয়তো এ পরিতিস্থি সৃষ্টি হতো না। কৃষকের জন্য সরকার পর্যাপ্ত সার-বীজ মজুদ রেখেছে। কৃষকের দোরগোড়ায় তা পৌছে দিতে কৃষি অধিদপ্তর বিরামহীন কাজ করছে। কৃষি পণ্যের জন্য কৃষকদের আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। পরে আন্দোলনকারী কার্ডধারী কৃষকদের সার ও বীজ এবং হাইব্রিড বীজ তুলে দেয়া হয়।