কুলাউড়ায় দোকান থেকে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

কুলাউড়ায় দোকান থেকে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, আটক ১

কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সদরের দক্ষিণ বাজারের একটি কাপড়ের দোকান থেকে  এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ( ২৯/১০/২০২২) সকালে শারমিন ফ্যাশন থেকে কুলাউড়া থানা পুলিশ এই লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এই ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
ঝুলন্ত ঐ নারীর নাম রীতা রাণী বিশ্বাস (৩৩)।  তিনি কুলাউড়া ৯ নং ওয়ার্ডের লষ্করপুর গ্রামের নিতাই বিশ্বাসের স্ত্রী। রীতা এই দোকানের ম্যানেজার ছিলেন।  দোকানের মালিক ফারহানা আক্তার শারমিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি কুলাউড়া ৯ নং ওয়ার্ডের মমরেজপুরের মৃত আব্দুল জব্বার মেয়ে এবং ভুকশিমইল ইউনিয়নের গৌড়করন গ্রামের মো. এনামুল লিমন ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ জুয়েল আহমদ নামে একজনকে আটক করেছে। আটককৃত জুয়েল লষ্করপুরের জমর আলীর ছেলে এবং পলাতক শারমিনের খালাতো ভাই।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান পুলিশ ধারণা করছে শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দোকানের কর্মচারী তানিয়া সকালে দোকান খুলে লাশ ঝুলন্ত দেখে চিৎকার দেয়, তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখে পুলিশে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক।  তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্তের পর বলা যাবে।
ওসি আরও জানান, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন জানিয়েছেন নিহত রীতার সাথে দোকান মালিক শারমিনের কিছুদিন থেকে বিরোধ চলছিল বলে তিনি শুনেছেন। পরে তার দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ লষ্করপুরে দোকান মালিক শারমিনের খালার বাড়িতে অভিযান চালায়। তিনি ওখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের রওয়ানা হওয়ার খবর পেয়ে শারমিন আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শারমিনের খালাতো ভাই জুয়েলকে আটক করে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে আটক জুয়েলের পিতা জমর আলী বলেন তার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে তার খালাতো বোন শারমিনকে দোকান ও বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে আসছিল। এতে অনেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করে থাকতে পারে।  ম্যানেজার মেয়েটি কেন মারা গেছে তা তিনি জানেন না কিন্তু  শারমিন এর সাথে জড়িত বলেও বিশ্বাস করেন না জমর আলী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন শারমিন পিতামাতার একমাত্র সন্তান। তাই তার পিতা সব সম্পত্তি মেয়ের নামে লিখে দেন। শারমিনের  বাবা মারা যাওয়ার পর চাচাতো ভাই রুহুল তার সম্পত্তি দখলের জন্য দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করে আসছে। রুহুল আমিন যুবলীগ নেতা এবং এলাকার প্রভাবশালী লোক। তাই এই লাশের ব্যাপারে রুহুল আমিন কোনো ষড়যন্ত্র করে থাকতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।