ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগিদের হুমকির প্রতিবাদে মাধব বনিকের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩

ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগিদের হুমকির প্রতিবাদে মাধব বনিকের সংবাদ সম্মেলন

মোঃ মোশফিকুর রহমান সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ পৌরশহরের মধ্যবাজারে ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগিদের ষড়যন্ত্রের শিকার ও প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী ঘরের মালিক মাধব চন্দ্র বনিক ও স্ত্রী লিজা বনিক।
সোমবার বিকালে মধ্যবাজার এলাকায় জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মাধবচন্দ্র বণিক জানান, তার বড়ভাই সুজিত বণিক সহ দুই ভাই প্রগতি-৩৯ মধ্যবাজার সুনামগঞ্জে বসবাস করে আসছেন। প্রায় দেড়বছর আগে তার ভাই সুজিত বণিক তাঁর ঘরের একটি অংশ পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মৃত মঞ্জুলাল রায়ের ছেলে নন্দন রায়ের নিকট ভাড়া দিয়ে অন্যত্র বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে নন্দন রায় বৈদ্যুতিক মালামাল রাখার গুদাম হিসেবে ঘরের অংশটি ব্যবহার করে আসছিলেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগিরা মিলে ঘরটি ভাংচুর করে ও বসতঘর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় বসতঘরে থাকা মূল্যবান সম্পদ বাসনপত্র, স্বর্ণালংকার, এবং নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিযে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার দিন তিনি এবং তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না ঐদিন রাত ১০টায় বাসায় ফিরে দেখেন তার বড় ভাইয়ের ঘর ভাংচুর করা হয়েছে এবং তার ঘরের মূল্যবান সম্পদ স্বর্নাংলকার ও নগদ টাকা লুন্ঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের লোকজনকে জানানো হয়েছে। তখন এলাকাবাসী বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে তাকে আশ্বস্থ করেন। কিন্ত কয়েকদিন অপেক্ষার পর তিনি সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তখন সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার এক পর্যায়ে সৃষ্ট ঘটনার মীমাংসার জন্য আবারও স্থানীয়রা উদ্যোগী হলেও বিষয়টি কোন নিষ্পত্তি হয়নি। বরং ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগিরা প্রকাশ্য (মাধব বণিক) তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সরকার ও পুলিশ সুপারের নিকট দাবী জানান।

এ ব্যাপারে নন্দন রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি মিথ্যা বলে জানান।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও মধ্যবাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বিমল বনিক বলেন,প্রথম ঘটনাটি জানতে পারিনি। পরে বিষয়টি জানার পর নিস্পত্তির জন্য চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে ঘটনার তদন্তকারী এস. আই আবির দাস বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নিষ্পত্তি করবেন বলে সময় দিয়ে এসেছি। নিষ্পত্তি না হওয়ার পর অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।