সুনামগঞ্জে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপিত

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩

সুনামগঞ্জে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপিত

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা ইশারা ভাষা প্রচলন, বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন’
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে যথাযথ ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) সকাল সাড়ে দশটায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।র্যালি শেষে
জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসন,জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় ও জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় জেলা সমাজ সেবার উ পরিচালক সুচিত্রা রায়’র সভাপতিত্বে ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. তানজিল হক’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ,
প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, মিজানুল হক সরকার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হায়দার চৌধুরী লিটন,প্রবেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন,শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুর আলম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নেতৃবৃন্দ এবং বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা।

জানা যায় , ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৭ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা বা প্রতীকী ভাষা বলতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত ও বাহু নড়ানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে বোঝায়।

কম করে হলেও দেশে ইশারা ভাষা ব্যবহার শুরু হয়েছে।
বক্তারা বলেন, দেশের সাতটি বিভাগে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই স্কুল বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা পড়াশুনা করতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের উপযুক্ত নার্সিং ও শরীর চর্চার মাধ্যমে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন।তিনি বিশ্বের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে সার্বিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন।
আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন উপজেলার ৯ জন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের মাঝে হিয়ারিং যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।